পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবারও ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা না হলেও বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে জোটটি। ভারতে কে ক্ষমতাসীন হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য সে সরকারের পলিসি কী হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ নির্বাচনের নানান দিক নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও নানা বিশ্লেষণ করছে।
দলটির নেতারা মনে করেন, দ্বিতীয় মেয়াদে বিজেপি ক্ষমতায় আসায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু অমীমাংসিত বিষয়ে সুরাহা হবে। দলটি বলছে, গত ৫ বছরে বিজেপি ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভালোই ছিল। দীর্ঘদিনের দুটি অমীমাংসীত বিষয়ের সমাধান হয়েছে। একটি হল ছিটমহল সমস্যা, আরেকটি বঙ্গপোসাগরের সীমানা নির্ধারণ।
এবারও সেই যাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও ভারত-বাংলাদেশষ-চীন-মিয়ানমার ইকনোমিক করিডরের বিষয়ে দ্রæত সমাধান আসবে বলে আশাবাদি বাংলাদেশ। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে কোন কিছু বলা না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাষ্ট্রীয়; দলীয় নয়। বিগত সময়ে বিজেপির পলিসি ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে। ক্ষমতায় আসার পর ভারতের পলিসি কী হবে বা প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ও বাংলাদেশের প্রতি তাদের মনোভাব কী তার উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। এছাড়া কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী কোন স্থান থেকে জয়লাভ করবে সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিগত সময়ে বিজেপি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বোঝা যায় কিছু অমীমাংসিত বিষয়ে দ্রæত সমাধান আসবে। ইতোমধ্যে ছিটমহল ও বঙ্গপোসাগরের সীমানা নিয়ে জটিলতা সমাধান হয়েছে। আগামীতে দ্রæত সময়ে তিস্তা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডোরের জটিলতার সমাধান হবে। তবে এখনও নির্দিষ্টভাবে কোন কিছু বলা যাবে না, নতুন সরকারের পলিসি নির্ধারণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আজ দলের সম্পাদকমÐলীর সভা আছে। সভা শেষে দলীয়ভাবে ভারতের নির্বাচন নিয়ে কথা বলবে আওয়ামী লীগ। তবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেখানেই হোক, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আওয়ামী লীগ। জনগণের সরকারের সঙ্গে কাজ করবে আওয়ামী লীগ।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’ একইসঙ্গে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় আছে এবং তা বজায় থাকবে বলেও আশাবাদ আওয়ামী লীগ নেতাদের।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস, চীন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশ মোদিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ভারতের কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে এই সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গেও কংগ্রেসের পারিবারিক সম্পর্ক আছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আওয়ামী লীগের জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা অনেক সহজ। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সরকারকে দায়ী করেন। আর ওই সময় ভারতে বিজেপি ক্ষমতাসীন ছিল। তবে তিনি আরো বলেন, বিজেপি এখন রাজনীতির চেয়ে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেয় বেশি। নরেন্দ্র মোদিও ব্যবসা-বান্ধব বলেই সবাই জানেন। গত ৫ বছরে বিজেপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ভারতের বিজেপির রাজনীতিকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এখন যে সম্পর্ক তাতে টানাপোড়েনের সম্ভাবনা নেই।
ইতিমধ্যে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের সব কটি আসনের গণনার চিত্র তুলে ধরে এনডিটিভি বলেছে, গতকাল বাংলাদেশ সময় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ৩৪০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আর এখানে বিজেপি একাই ২৭৫টি আসনে এগিয়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।