রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় জায়ান্ট মিলিবাগ নামক পোকার আক্রমণে রেইনট্রি গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে।
রেইনট্রি’র গায়ে আঠার মতো লেগে আছে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা। এই পোকা গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগের কচি পাতা, ফলের বোটা বা গাছের গায়ে দলবদ্ধভাবে সাদা রঙের আচ্ছাদন বিছিয়ে এমনভাবে গাদাগাদি করে থাকে যে, গাছটির আক্রান্ত স্থান সহজে দেখা যায় না। এরা খাদ্য হিসেবে গাছের রস চুষে খায়। ফলে গাছের পাতা কালো হয়ে যাচ্ছে এবং গাছ ঠিকমতো খাদ্য তৈরি করতে পারছে না। একপর্যায়ে দুর্বল হয়ে শেষ পর্যন্ত মারা যাচ্ছে গাছ।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, রেইনট্রিতে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার আক্রমণের কারণে উপজেলার ছোট-বড় কয়েক হাজার গাছ মারা গেছে। তবে সকলের সহযোগিতা পেলে এই বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। এ জন্য সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শওকত আলী, আবু বক্কার ও আবু দাউদ জানান, তাদের বাগানের রেইনট্রিতে ব্যাপকহারে পোকা আক্রমণ করেছে। এ কারণে তাদের বাড়ন্ত গাছগুলো মারা যাচ্ছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
একই অভিযোগ করেন উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আব্দুর রহিম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রুহুল কুদ্দুস, কুশুলিয়া ইউনিয়নের শেখ শওকত আলী।
এছাড়াও উপজেলার রাস্তার পাশের বড় বড় রেইনট্রিতে পোকা আক্রমণের কারণে গাছগুলো মরে শুকিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ ফজলুল হক মনি জানান, জায়ান্ট মিলিবাগ ১৯২৩ সালে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে।
এরা ফলদ উদ্ভিদ যেমন- নারিকেল, আম, লেবু, কাঁঠাল ছাড়াও বনজ বৃক্ষ রেইনট্রি, কড়ই, পাহাড়ি তুলা ইত্যাদি গাছে আক্রমণ করে থাকে।
তিনি আরও জানান, সাধারণত ফাল্গুন-চৈত্র মাসে স্ত্রী পোকা গাছ থেকে নেমে আসে এবং মাটির ৫-১৫ সেন্টিমিটার গভীরে গুচ্ছাকারে ৩০০-৫০০টি ডিম পাড়ে। আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহ হতে ডিম ফুটে নিম্ফ বের হয়ে আসে এবং হেঁটে হেঁটে খাদ্যের সন্ধানে পোষক গাছে উঠতে শুরু করে।
জায়ান্ট মিলিবাগের হাত থেকে গাছ রক্ষার জন্য তিনি দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, গাছে আক্রমণ করলে যে কোনো সময় জৈব বালাইনাশক, ফাইটোক্লিন দিয়ে পোকাটি দমন করা যায়। এছাড়াও কার্তিক মাসে সদ্য ফোটা নিম্ফ ধ্বংস করা এবং ফাল্গুন-চৈত্র মাসে পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী পোকা ধ্বংস করা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, এই পোকার আক্রমণ কমাতে আমাদের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলের সহযোগিতা পেলে এ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এমতাবস্থায় জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা যাতে মহামারি আকার ধারণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।