রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ‘ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট’ (আইএসপিপি) যত্নপ্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম থাকায় ঘটনার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ঘটনাটি ঘটেছে, থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে যত্নপ্রকল্পের তালিকাভূক্ত এক হাজার একশত আটষট্টি জন সূবিধাভোগীর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙ্গুলের ছাপ ও মুখ মন্ডলের ছবি সংগ্রহ) অর্ন্তভূক্তিকরনের কাজ গত ১৮ মে সকালে ইউপি কার্যালয়ে শুরু করা হয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে কার্যক্রমে বাধা প্রধান করেন। পরে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার নেতাকর্মীদের শান্ত করে কার্যক্রম শুরু করেন। ওই দিন বিকাল ৪টায় কার্যক্রম শেষে সুবিধাভোগীসহ অর্ন্তভূক্তিকরনের কাজে নিয়োজিত সকলেই স্থান ত্যাগের পর পুর্ণরায় অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হান্নান সরকার ও তার ছোট ভাই হিরু সরকারের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং পরিষদের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। ভাঙচুরের ঘটনায় গত ১৯ মে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা পুলিশ।
এদিকে ঘটনার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারনে ইউপি চেয়ারম্যান হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযোগ উঠেছে, যত্মপ্রকল্পে অনিয়ম থাকায় থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার ভয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
ইউনিয়ন আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হান্নান সরকার হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্র। যত্ন প্রকল্পে নাম অন্তর্ভূক্তির কথা বলে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। টাকা নেয়ারপরও যাদের নাম তালিকায় ছিলো না তারা প্রতিবাদ করেছে। ভাঙচুরের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে এসব করিয়ে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।
থেতরাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার জানান, যত্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। দরিদ্রদের পরিবর্তে বিত্তশালীদের নামের তালিকা করা হয়েছে। এ কারনে সুবিধাবঞ্চিতরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ভাঙচুরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছি আ.লীগ নেতা হান্নান ও তার ভাই হিরুর নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ব কার্যালয়ে প্রবেশ করে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। যত্ন প্রকল্পে অনিয়মের কথা তিনি অস্বীকার করেন। ভাঙচুরের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, ঘটনার সময় আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।