গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিশেষ শিশুদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুদান দিয়েছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। অনুদান হিসেবে হুয়াওয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী নিউ ডিওএইচএস-এ অবস্থিত পিএফডিএ-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের কাছে এসব যন্ত্রাংশ হস্তান্তর করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিএফডিএ- ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃপক্ষকে আল্ট্রা সাউন্ড থেরাপি (ইএসটি), আল্ট্রা রেড রেডিয়েশন (আইআরআর), শর্ট ওয়েভ ডায়াথারমি (এসডব্লিউডি), ইলেকট্রিক্যাল মাসল স্টিমুলেটর (ইএমএস), বেড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ ট্রাকশন মেশিন (পেলভিক অ্যান্ড কার্ভিক্যাল ট্র্যাকশন) দেওয়া হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ ওই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও এর শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে সহায়তা করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আচার-ব্যবহারের ধরণ এবং অস্বাভাবিক ব্যবহারের কারণ জানতে সহায়তা করবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বিশেষ শিশুদের সহায়তার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করা উচিত। আজকের এই আয়োজন তেমনি একটি উদাহারণ। এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে যে, যদি তাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে তারা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারে।
ঝাং জেংজুন বলেন, আমরা স্থানীয় কমিউনিটির উন্নয়নের প্রতি যতœশীল। বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় ও প্রয়োজনে হুয়াওয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কাজে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জন্য শীর্ষক একটি চ্যারিটি প্রোগ্রামের আওতায় যারা অবহেলিত তাদের সহায়তা করা হয়। আমাদের সাথে আরও সহযোগীরা আছেন, যারা সমাজের জন্য একই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে আমরা এই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বহন করবো।
সাজিদা রহমান ড্যানি বলেন, আমরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাধীন ও বাস্তবসম্মত জীবনধারা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। এই মহৎ কাজে সহায়তা করার জন্য হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ। বিশেষ শিশুদের সহায়তায় ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।