পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের নির্মম শিকার। সরকার এ সমস্যা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশের বলে সতর্ক করেছেন ফ্রান্স ন্যাশনাল পার্লামেন্টের সদস্য ও ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গ্রæপের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ওবোনো। তাই আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে সোচ্চার হওয়ার আহŸান জানান তিনি। এসময় ওবানো জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রসংশাও করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে গতকাল বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় কালে এই সতর্কবার্তা পৌঁছে দেন ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গ্রæপের চেয়ারম্যান। আলোচনাকালে তাঁরা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
মতবিনিময়কালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের নির্মম শিকার। সরকার এ সমস্যা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস স¤প্রচার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে যথাসময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর, দ্রæত ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ, উপকূলীয় বাঁধ তৈরি, লবণাক্ত ও খরা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন চর এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি, জলবায়ু ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন ইত্যাদি পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেই সমাধান করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন এবং এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করে।
স্পিকার বলেন, নতুন নতুন মাত্রার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বিত প্রয়াস আরও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি প্যারিস ডিক্লারেশেন অনুযায়ী বাংলাদেশকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান। ড. শিরীন শারমিন বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত দুটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে। অপ্রতুল ভূমি, ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা, জেন্ডার ইস্যু, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হয়। তা সত্তে¡ও বাংলাদেশ বন্যা ও সাইক্লোন সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রæপের মাধ্যমে দু’দেশের সংসদ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।