Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরে ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের রমরমা কোচিং বাণিজ্য

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ৬:০৮ পিএম

শ্রীনগরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য সরকার আইন করে নির্দেশ দেওয়ার পরও উপজেলার হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারগুলো এখনো বহাল তবিয়তে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে। এমপিওভুক্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা বাসা ভাড়া নিয়ে নামে-বেনামে বাধাহীন এই ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ৫৪ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ১৭ জন এমপিও ভুক্ত এবং বাকি শিক্ষকরা খন্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত। একারণে কোচিং বাণিজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সকাল, দুপুর ও বিকালে পালাক্রমে চলছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পাঠদান। ছাত্রছাত্রীদের আনাগোনা দেখে মনে হয় যেন স্কুল ছুটি হয়েছে। কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকরা হলেন উজ্জ্বল তালুকদার, সাধন মন্ডল, রাসেল, পার্থিব মন্ডল, পিন্টু কুমার দাস, মোকসেদ মোল্লা, তাজুল ইসলাম, হেলাল, শংকর কুমার পোদ্দার, সানাউল, বিভূতি বসু, আবু সাঈদ তালুকদার, নিশীদ মন্ডল, রইস উদ্দীন, আকতার হোসেন সনেটসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা গড়ে তুলেছে তাদের কোচিং বাণিজ্য কেন্দ্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় সব শিক্ষক কোনো না কোনো কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট্ট একটি ঘরে ১ ঘন্টার কোচিংয়ে ২০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে একত্রে পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ সেখানে নেই বললেই চলে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১ ঘন্টা করে মাসে ১২ দিন তাদের পড়ানো হয়। কোচিং ফি বাবদ মাসে ৫শ থেকে ১৫শ টাকা করে দিতে হচ্ছে তাদের।
শিক্ষার্থীদের কাছে জিজ্ঞেস করলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শিক্ষকের কাছে কোচিং না করলে পরীক্ষায় পাস করবো কি করে। ক্লাসে পাঠদান প্রসঙ্গে তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হচ্ছে নাম মাত্র। তাই কোচিংয়ে পড়তে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, যেসব গরিব ছাত্র টাকার অভাবে শিক্ষক দের কাছে প্রাইভেট/কোচিং করতে পারে না তারা পরীক্ষায় ফেল করে। তাই বাধ্য হয়েই ছেলে-মেয়েদের কোচিংয়ে পড়তে দিতে হয়। এমনও শিক্ষক রয়েছে যার কাছে প্রাইভেট না পড়লে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যায় না।
প্রধান শিক্ষকের অধ্যৎ মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি শিক্ষকদের কোচিং পড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি আরো জানাই আমার প্রতিষ্ঠানে ৫৪ জন শিক্ষক রয়েছে তার মধ্যে মাত্র ১৭ জন এমপিও ভুক্ত বাকি ৩৭ জন শিক্ষক খন্ড কালিন। তারাই মুলোত প্রাইভেট/কোচিং করিয়েথাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমার জানানেই তবে খুবদ্রুত আমি ব্যবস্তা গ্রহন করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুন্সীগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ