Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঁচটির তিনটিতে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দীপন বিশ্বাস, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আগামী ৪ জুনের নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী মাঠ এখন সরগরম। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছাড়াও নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। সবার মুখে একি কথা, এবার বাজিমাত করবে ৩ স্বতন্ত্রপ্রার্থী। অনেকের মতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা বাজিমাত করতে পারেন। সে আলামতই দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত। সূত্র মতে, উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজাপালং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরীর ছেলে তারেক মাহমুদ রাজিব চৌধুরী। রতœাপালং ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন নুরুল হুদা, ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন নুরুল কবির চৌধুরী। পালংখালী ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল, ধানের শীষ পেয়েছেন হেলাল উদ্দিন। হলদিয়া পালং ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই অধ্যক্ষ শাহ আলম, বিএনপিধানের শীষ নিয়ে এসেছেন শামশুল আলম বাবুল। জালিয়া পালং ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন এসএম ছৈয়দ আলম, ধানের শীষ নিয়ে বিএনপিদলীয় প্রার্থী হয়েছেন নুরুল আমিন চৌধুরী। কিন্তু রাজাপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৩ ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে রতœাপালং ইউনিয়নে খাইরুল আলম চৌধুরীর গনজোয়ার চলছে। সবার মুখে মুখে খাইরুল আলম চৌধুরীর জয়গান। তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবাই যেন খাইরুল বন্ধনায় মেতে ওঠেছেন। বিগত ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বলতে গেলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন ও নুরুল কবির চৌধুরীর বিজয়ে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। রতœাপালং ইউনিয়নে দানবীর হিসেবে পরিচিত খাইরুল আলম চৌধুরীর আলাদা একটা বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে। যা রতœাপালং ইউনিয়নে আর কোন প্রার্থীর নেই এমনই মন্তব্য একাধিক ভোটারের। তাই প্রতিবারই নির্বাচন এলে তার কদর বেড়ে যায় অন্য প্রার্থীর কাছে। এবার তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। রতœাপালং ইউনিয়নে খাইরুল আলম চৌধুরী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় জামায়াত থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া বিএনপি দলীয় প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নুরুল হুদা অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন। কারণ দু’দলের একটি অংশ সরাসরি খাইরুল আলম চৌধুরী পক্ষে প্রকাশ্যে নেমেছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন খাইরুল আলম চৌধুরী। এদিকে পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আলোচিত প্রার্থী গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে আটকানো কঠিন হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত। কারণ বিগত ৫ বছর এলাকার জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে জনদরদী নেতা হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তাছাড়া উন্নয়নও করেছেন চোখে পড়ার মতো। তাই অন্যদের চেয়ে তিনি এ ইউনিয়নে এগিয়ে রয়েছেন জয়ের ক্ষেত্রে। এ অভিমত স্থানীয়দের। অন্যদিকে হলদিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা দলীয় মনোনয়ন পাননি। হঠাৎ নৌকা প্রতীক নিয়ে আলোচনায় চলে এসেছেন বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই অধ্যক্ষ শাহআলম। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা আমিনুল হক আমিন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা আমিনুল হক আমিন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ায় এ ইউনিয়নের ভোটের হিসাব করতে শুরু করে দিয়েছেন ভোটাররা। সচেতন মহলের মতে, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় এ ইউনিয়নে ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে থাকা আমিনুল হক আমিনের সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শামশুল আলম বাবুলের। অন্য ২ ইউনিয়ন রাজাপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নে উল্লেখ করার মতো কোন স্বতন্ত্রপ্রার্থী না থাকায় দলীয় প্রার্থীরা টেনশনমুক্ত প্রচারণায় ব্যস্ত। আগামী ৪ জুন উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে দিনই জানা যাবে কার গলায় উঠে জয়ের মালা। তবে ভোটারগণের দাবি সুষ্ঠু ভোটের। উখিয়া উপজেলায় সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬ জন। তৎমধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৬শ ৩৪ জন, রতœাপালং ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১শ ২২ জন, জালিয়াপালং ইউনিয়নে ২৫ হাজার ৪শ ২৬ জন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৪শ ১১ জন ও পালংখালী ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪শ ২৩ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাঁচটির তিনটিতে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ