পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ এর আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কয়েক দফা দাবিতে আন্দোলনরত পদবঞ্চিত নেতারা। গত রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে পদবঞ্চিতরা প্রায় শ’খানেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও মাত্র ৪ জনকে বাদ দেয়ার কথা বলছেন শীর্ষ নেতারা। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের কয়েকগুণ সময় পেরিয়ে গেলেও জমা দেয়নি তদন্ত রিপোর্ট।
এর আগে রোববার রাতে পদবঞ্চিতদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের শীর্ষ চার নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন ছাত্রলীগের রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি শ্রাবণী শায়লা, জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান। বৈঠক শেষে মধ্যরাতে রাজু ভাস্কর্যে এসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে মোল্লা কাউছারের নেতৃত্ব ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাবি সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এ সময় বিভিন্ন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
দীর্ঘ প্রায় ১ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পর কমিটিতে পদ না পাওয়ায় ক্ষোভ জানাতে গিয়ে মধুর ক্যান্টিনে হামলার শিকার হন পদবঞ্চিতরা। সেখানে চার নেত্রীসহ ৮ জন আহত হন। ওই ঘটনার বিচার এবং বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন পদবঞ্চিতরা। পরে তীব্র সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিতদের বাদ দিতে বলেন।
এরপর গত শনিবার মধ্যরাতে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে তথ্য দিতে এসে টিএসসিতে আরেক দফা হামলার মুখে পড়েন বঞ্চিতরা। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারীদের হামলায় ঢাবির রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বিএম লিপি আক্তারসহ আহত হন অন্তত ১০ জন। হামলার পর থেকেই রাজু ভাষ্কর্যের নিচে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
পদবঞ্চিত নেতারা বলছেন, বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বহিষ্কার ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসলেও বিতর্কিত নেতাদের কমিটিতে রাখার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারী। বঞ্চিত নেতাদের উপর মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে দু’দফা হামলা চালানো হলেও তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেনি এর আগে এ নিয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি। উপরন্ত টিএসসির হামলায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরাসরি অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে মধুর ক্যান্টিনে হামলার সাথে জড়িত ও বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত মঙ্গলবার ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ। তদন্ত কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি। কমিটিতে রয়েছে, নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাৎ ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পল্বব কুমার বর্মণ। হামলায় আহত নেতাদের অভিযোগ সভাপতি, সেক্রেটারীসহ শীর্ষ নেতাদের ইন্ধনে তাদের অনুসারীরা হামলা চালায়। তাই তাদের বাঁচাতে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে গড়িমসি করছেন শীর্ষ নেতারা।
অন্যদিকে সদ্য ঘোষিত কমিটির প্রায় শতাধিক বিতির্কত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও এদের বিরুদ্ধে মাত্র চার থেকে পাঁচ জনকে বহিষ্কারের ব্যপারে কাজ করছে নেতারা। রোববার রাতে গোলাম রাব্বানী বিতর্কিত ৪ জনকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান। মধুর ক্যান্টিনে হামলার অভিযুক্তদের ব্যপারে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, তদন্ত কমিটি মধুর ক্যান্টিনে হামলার ভিড়িও ফুটেজ দেখেছে। সেদিন সেভাবে কেউ আহত হয়নি। শুধু একজনের একটু আঘাত লাগার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বরং যারা অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে হামলার কিছু তথ্য তদন্ত কমিটি পেয়েছে। এবিষয়ে কথা বলতে তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ইনকিলাব থেকে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।