প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
নজরুল সঙ্গীতের প্রখ্যাত শিল্পী, গবেষক, স্বরলিপিকার ও সংগীতগুরু খালিদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আসিফ হোসেন। তিনি জানান, আগের তুলনায় বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিনতে কষ্ট হচ্ছে স্বজনদের। চিকিৎসকরা আসলে কোনো আশা দেখাচ্ছেন না। বলছেন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। এখন সবকিছু মহান আল্লাহর উপরই নির্ভর করছে। সঙ্গীতশিল্পী খালিদ হোসেনের জন্য দোয়া চেয়েছেন তার পুত্র আসিফ। তিনি জানান, তার ৮৪ বছর বয়সি বাবা দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছেন। ইদানীং তার কিডনির জটিলতা বেড়েছে। ফুসফুসেও সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা আছে। চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসেই হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। তখন দুই-তিন দিন হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকেন। কিন্তু ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। একুশে পদকজয়ী এই শিল্পীকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ৯ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে খালিদ হোসেনের চিকিৎসার জন্য এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে শিল্পীর স্ত্রী শাহানা হোসেন বলেন, প্রতিমাসে শুধু একটি ওষুধের জন্যই ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে। গুণী এই শিল্পীর চিকিৎসার্থে সরকারি যে সহয়তা দেয়া হয়েছিলো ইতোমধ্যেই তা শেষ হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাই একমাত্র আশ্রয়। উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর খালিদ হোসেনের জন্ম। দেশ বিভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে নজরুলসংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত আছেন। দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী রয়েছে। খালিদ হোসেনের গাওয়া নজরুলসঙ্গীতের ছয়টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আরো আছে একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম ও ইসলামি গানের ১২টি অ্যালবাম। তিনি ২০০০ সালে একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা। খালিদ হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সঙ্গীতের প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলসঙ্গীতের আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।