বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের বিরুদ্ধে ই-টেন্ডারে জালিয়াতির মাধ্যমে মেয়রের ভাইয়ের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস এম কন্সট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরপত্র আহŸান ও প্রকল্প বাস্তায়নে দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকাতে সরকার উন্নয়নকাজে ই-টেন্ডার পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু এ পৌরসভায় ই-টেন্ডারেই অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রæয়ারী দুটি জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পযার্য়) অধীন দুটি প্রকল্পের ই-টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এবং ন্যাশনাল ইজিপি সিস্টেম পোর্টালে টেন্ডার আইডি দেওয়া হয় ২৭৩২৩০ এবং ২৭৩২৪০। ঠিকাদাররা উক্ত আইডিতে কোন দরপত্র না পেয়ে বাগাতীপাড়া পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগে যোগাযোগ করলে সহকারী প্রকৌশলী আকমারুজ্জামান জানান, প্রকৃত টেন্ডার আইডি হবে ২৮৩২৩০ এবং ২৮৩২৪০। টেন্ডার আইডি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল দেয়ায় অনেক ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে উক্ত দরপত্রে মের্সাস রিজভী কন্সট্রাকশন, মেসার্স বাবলু এন্টারপ্রাইজ, মের্সাস রংধনু ট্রেডার্স এবং মের্সাস এম কন্সট্রাকশন নামে চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তারমধ্যে বাগাতিপাড়া পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন এর ছোট ভাই মুক্তার হোসেনের মালিকানাধীন এম কন্সট্রাকশন নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমদরে দরপত্র দাখিল করে। বাকি তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ৫% নি¤œদরে দরপত্র দাখিল করে। প্রকৌশল বিভাগ প্রচলিত নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে দরপত্রে অংশ নেয়া বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণা করে মেসার্স এম কন্সট্রাকশনের নামে লটারীর ফলাফল ঘোষণা করে ।
রংধনু এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ঠিকাদার সাইফুল্লাহ শেখ রিপন অভিযোগ করে বলেন, একটি দরপত্রের প্রক্রিয়া স¤পন্ন করতে পাঁচটি ধাপ পেরোতে হয়। ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে মাত্র দুটি বিষয় অর্থাৎ দরপত্র আহŸান ও জমার কাজটি হয় অনলাইনে। দরপত্র মূল্যায়ন, কার্যাদেশ দেওয়া ও চুক্তিপত্র কাজগুলো দরপত্র আহŸানকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থা ম্যানুয়ালি করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, যে ঠিকাদার সর্বনি¤œ দর দেবেন, যাচাই-বাছাই শেষে তাকেই কার্যাদেশ দেওয়ার কথা। কিন্তু বাগাতিপাড়া পৌরসভায় দুটি কাজের ই-টেন্ডারে ক্ষেত্রে তা হয়নি । দরপত্রের শুরু থেকেই অনিয়ম করা হয়েছে। দরপত্র বাছাইয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে দরপত্র দুটি বাতিলের জন্য তারা লিখিত আকারে গুরুত্বপূর্ণ শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পযার্য়) প্রকল্প পরিচালককে জানিয়েছেন।
বাগাতিপাড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আকরামুজ্জামান জানান, ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে কোন জালিয়াতি করা হয়নি। সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। টেন্ডার আইডি নম্বর ভুল দেওয়ার কারণ জিঞ্জাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
বাগাতিপাড়া পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দরপত্র দাখিলের পর যাচাই বাছাই শেষে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় নির্ধারণ করবে কে কাজ পাবে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রশ্নই উঠে না। বরং মেসার্স রংধনু ট্রের্ডাস দরপত্রের সাথে ব্যাংকের জাল পে অর্ডার জমা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।