Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধ রাইসমিল চালুর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সারাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাইসমিলগুলো ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো রাইসমিল ওনার্স এসোসিয়েশন। এতে ধানের দাম বাড়বে বলে মনে করছে তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো রাইসমিল ওনার্স এসোসিয়েশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেললে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান। এসময় ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
দাবিগুলো হলো, বন্ধ হওয়া অটো রাইসমিলগুলোর ব্যাংক ঋণের শতভাগ সুদ মওকুফ করে রিসিউডিলের মাধ্যমে ২৫ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা চলতি মূলধন দিতে হবে। সুদের হার কৃষিশিল্প হিসেবে ৪ থেকে ৫ ভাগ ঠিক করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল কৃষি শিল্প হিসেবে ৪ থেকে ৫ টাকা ইউনিট ঠিক করা। এছাড়া বিদেশ থেকে আপাতত চাল আমদানির উপর শুল্ক হার ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শতকরা ৪০ ভাগে উন্নীত করা। শক্তিশালী টিমের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষক সনাক্ত করা ও শতকরা ২ ভাগ হারে কৃষি ঋণ বিতরণের করা।
এছাড়া কৃষি যন্ত্র উপকরণ কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ৭ বছর মেয়াদী বিনা সুদে ব্যাংকের মাধ্যমে সরবরাহ করার দাবিও জানানো হয়। এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হলে ধানের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। এতে কৃষকের আর হাহাকার থাকবে না। খোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের সিডিউল ব্যাংকগুলো কিছু সংখ্যক অটো রাইসমিল মালিকদের ২০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত চলতি মূলধন দিয়ে থাকেন। অথচ শতকরা ৯০ ভাগ অটো রাইসমিল মালিকদের ৫০ লাখ হতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ব্যাংক চলতি মূলধন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, সিটি ও এসিআইয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠান মার্কেটে আসায় প্রতিযোগিতায় পড়েছে ছোট রাইসমিলগুলো। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ পেলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ না পেয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ রাইসমিল বন্ধ হয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, ব্যাংক সবাইকে ঋণ দিচ্ছে না। যারা বড় তাদেরকে ঋণ দিচ্ছে। রাইস মিল মালিকদের পক্ষ থেকে তেমনভাবে ধান কেনাও শুরু হয়নি বলেও জানান এই নেতা। তিনি বলেন, অর্থ না থাকলে ধান কিনবো কি দিয়ে? অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে রাইস মিলের প্রকৃত সংখ্যা কতো তা আমরা জানি না। খাদ্য অধিদফতরের কাছে রাইস মিলের প্রকৃত সংখ্যার তথ্য থাকার কথা। আমরা তাদের কাছে সেই সংখ্যাটি জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খাদ্য অধিদফতরের পক্ষে বলা হয়েছে এই তালিকা সরবরাহ করা যাবে না। আমাদের সংগঠনে ৩০০ থেকে ৪০০ সদস্য রয়েছে, যাদের মধ্যে বর্তমানে হয়তো ১০০ জনের মতো ধান কিনছে। বাকিরা ধানই কিনতে পারছে না।
তিনি বলেন, আমরা জানি ব্রিটিশরা কৃষকদের জোর করে ধান চাষের বদলে নীল চাষ করাতেন। এখন কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পওয়ায় রংপুরের কিছু এলাকায় নিজ উদ্যোগে নীলচাষ শুরু করেছেন। বিষয়টি আমাদের জন্য উদ্বেগের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্ধ রাইসমিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ