বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট মোকাবেলায় ৩৯ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের ক্যাডারভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক এ দাবি জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চিকিৎসক সংকট মোকাবেলার জন্য ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুসারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ৩৯ তম বিসিএসের আয়োজন করে। পিএসসি’র পরিপত্রে ৪ হাজার ৭৯২ জন নিয়োগের কথা বলা হলে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অন্তত ৭ হাজার এবং সম্ভব হলে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানান। ৩৮ হাজার চিকিৎসক ৩৯ তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করে প্রিলিমিনারিতে ১৩ হাজার ২০০ জন উত্তীর্ণ হয়।
বক্তারা বলেন, মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পর পিএসসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং অতিরিক্ত ২ হাজার ২৫০ জন অতিরিক্ত নিয়গের সুপারিশ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌছাতে না পারায় পিএসসি ৪ হাজার ৭৯২ জন সুপারিশ করতে বাধ্য হয়। পিএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শুণ্যপদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয় নাই। দেশে চিকিৎসকদের জন্য কি পরিমাণ শূণ্য পদ রয়েছে সে সম্পর্কে বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ১ জন চিকিৎসক যায়। উপজেলার ৩০ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায়, জেলা হাসপাতালগুলো ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যা, ৫০০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করাসহ অনেকগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে ১৩৬ টি। দেশে ১০৫ টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা ৯ হাজার ৪০৩ জন, অথচ প্রয়োজন প্রায় ২৫ হাজার ৩০০ জন। অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ কম। এ সকল ক্ষেত্রে চিকিৎসক সংকট মোকাবেলায় পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ জরুরী। সামগ্রীক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ৩৯ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উলেখ করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।