Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কৃষকের ধান পোড়ানো অশনি সংকেত -ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ২:৫০ পিএম

ধানের মূল্য না পেয়ে কৃষক জমিতে আগুন দিয়ে ধান পুড়িয়ে ফেলছেন। এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন নিরাপদে নেই। আজকে মানুষের মধ্যে কোনও শান্তি নেই, কারণ দেশে গণতন্ত্র নেই। গায়ের জোরে সরকার পরিচালিত হচ্ছে। দেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানের মূল্য পাচ্ছে না। মূল্য না পাওয়ার কারণের তারা পাকা ধান জমিতে পুড়িয়ে ফেলছে। এটা দেশের জন্য খুবই অশনি সংকেত। কেননা আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর। ভাত হচ্ছে আমাদের প্রধান খাদ্য। সেই দেশের কৃষকরা পাকা ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে, এটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।কিন্তু সরকার কৃষকের সমস্যাকে পাশকাটিয়ে যাচ্ছে ও অবহেলা করছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন ধান মজুদ আছে খাদ্যমন্ত্রীদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার বলছে খাদ্য মন্ত্রণালয় কিছু চাল বিদেশে রফতানি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, আবার দেখা যাচ্ছে, সরকার চাল আমদানি করছে। এখানেই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে যদি বেশি দামে ধান কেনা হতো, তাহলে তারা পুড়িয়ে ফেলতো না।’ তিনি বলেন, আপনারা বলছেন দেশে খাদ্য মজুদ বেশি আছে, তাহলে আমদানি করা হচ্ছে কেন? গুঞ্জন আছে, যারা বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করতে চাচ্ছে, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধান-চাল আমদানির কথা বলা হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনও দুর্নীতির জন্য নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে আছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটাই প্রমাণিত যে, আইনের মাধ্যমে নয়, বর্তমান সরকার তাকে কারাগারে রেখেছে।'

অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—রাঙ্গামাটির মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের সদস্য কৌণ্ডণ্য ভিক্ষু, পাঞ্চা বংশ ভিক্ষু, সুশীল বড়ুয়া, জন গোমেজ ও জিয়া পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র চাকমা।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সেলিমা রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মোশাররফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ