পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কথা ভাবুন যেখানে তারা একটি নেটওয়ার্ক বেছে নিতে পারবে যা উচ্চতর গোপনীয়তা মান সম্পন্ন। আরেকটি যেখানে যোগ দিতে ফি লাগে কিন্তু কিছুটা বিজ্ঞাপন আছে। আর তৃতীয়টি যা ব্যবহারকারীদের তাদের ফিড কাস্টমাইজ ও টুইক করতে দেবে যদি তারা উপযুক্ত দেখে। কেউই আসলে জানে না যে ফেসবুকের প্রতিযোগীরা তাদের নিজেদের আলাদা করার জন্য কি দেবে। এটাই আসল কথা। ১৯৫০ দশকে বিচার বিভাগ এটিঅ্যান্ডটির সাথে সামাজিক ব্যয় ও সুবিধা নিয়ে অনুরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। ফোন সার্ভিস ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম বিষয়ে এটিঅ্যান্ডটির মনোপলি আছে। সরকার অবিশ^াস আইনের আওতায় মামলা দায়ের করে এবং একটি সম্মতি ডিক্রির মাধ্যমে সে মামলা শেষ হয় যা এটিঅ্যান্ডটিকে তার প্যাটেন্ট ছাড়ার জন্য নিতে হবে এবং বর্ধনশীল কম্পিউটার শিল্পের মধ্যে সম্প্রসারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এর ফল হয় উদ্ভাবনে বিস্ফোরণ, ফলো অন প্যাটেন্ট ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি এবং সেমিকন্ডাক্টর ও আধুনিক কম্পিউটিং-এ উন্নয়ন।
ফেসবুক ভেঙে দেয়াই যথেষ্ট নয়। আমাদের একটি নতুন সংস্থা দরকার। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে কংগ্রেস কর্তৃক ক্ষমতায়িত। এর প্রথম ম্যান্ডেট হবে গোপনীয়তা রক্ষা। ইউরোপীয়রা সার্বিক ডাটা সুরক্ষা আইনের মধ্য দিয়ে গোপনীয়তা বিষয়ে অগ্রগতি লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে একটি যুগান্তকারী গোপনীয়তা আইন আমেরিকানদের তাদের ডিজিটাল তথ্যের উপর কি নিয়ন্ত্রণ আছে। ব্যবহারকারীদের কাছে কি বিষয় স্পষ্টভাবে প্রকাশ দরকার তা ঠিক করবে এবং সময়ের উপর কার্যকর তদারকির জন্য পর্যাপ্ত নমনীয়তা দেবে।
সর্বশেষ, সামাজিক মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য কথাবার্তার জন্য এজেন্সির গাইডলাইন তৈরি করা উচিত। এ চিন্তাটা অ-আমেরিকান মনে হতে পারে। আমরা এমন এজেন্সিকে সমর্থন করতে পারি না যা কথাবার্তা সেন্সর করবে। কিন্তু আমাদের ইতোমধ্যেই জনাকীর্ণ থিয়েটারে ‘আগুন’ বলে চিৎকার করা। শিশু পর্নোগ্রাফি, সহিংসতাকে উস্কানি প্রদানমূলক বক্তব্য, শেয়ার মূল্য বিষয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যাতে ব্যবহার করতে পারে। আমাদের অনুরূপ মানদন্ড সৃষ্টি করতে হবে। এ মানদন্ড আদালতের পর্যালোচনার বিষয় হতে পারে।
এগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমি চিন্তিত যে সরকারি আইন ডিজিটাল উদ্ভাবনের গতির সাথে তাল মিলাতে সক্ষম নয়। আমি চিন্তি যে সামাজিক নেটওয়ার্কিং-এ আরো প্রতিযোগিতা একটি রক্ষণশীল বা উদার ফেসবুকের দিকে নিয়ে যেতে পারে অথবা এই সামাজিক নেটওয়ার্ক কম নিরাপদ হবে যদি সরকারি আইন দুর্বল হয়। কিন্তু স্থিতাবস্থায় আটকে থাকাও খারাপ হবে। এ নীতি বাস্তবায়নের মত সরকারি চাকরিজীবী যদি না থাকে কর্পোরেশনগুলো সে দায়িত্ব নিতে পারে।
কিছু লোকের সন্দেহ যে ফেসবুক ভেঙে দেয়ার প্রচেষ্টা আদালতে জয়ী হবে বা সামাজিক মাধ্যমের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের ব্যাপারে বিভক্ত কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সমর্থন পাওয়া যাবে। কিন্তু ভেঙে দেয়া বা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যদি তৎক্ষণাৎ সফল নাও হয়, তার জন্য চাপ সৃষ্টিও অধিকতর তদারকি আনতে পারে।
২০০১ সালে যখন জর্জ বুশ প্রশাসন মাইক্রোসফ্ট কোম্পানি ভেঙে দেয়ার চেষ্টা বাদ দেয়। তখন তাদের ওয়েব ব্রাউজার, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারে কাস্টমারদের বাধ্য করতে অবৈধভাবে নিজ বাজার শক্তি ব্যবহারের জন্য মাইক্রোসফ্ট-এর বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মামলার ইতি ঘটে। তবে এই বিচার প্রচেষ্টা প্রথমদিকের ওয়েব-এর উপর প্রাধান্য বিস্তারের মাইক্রোসফ্ট-এর উচ্চাভিলাষের বল্গার রাশ টানতে সাহায্য করে।
একই ভাবে ১৯৭০ দশকে মার্কিন বিচার বিভাগ পার্সোনাল কমপিউটারের ওপর মনোপলি বজায় রাখার অভিযোগে আইবিএমের বিরুদ্ধে মামলা করে যা নিষ্পন্ন হয়নি। কিন্তু আইবিএম তাদের বহু আচরণের পরিবর্তন করে। তারা হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার তৈরি বন্ধ করে নিজেদের পার্সোনাল কমপিউটারের পরিচালন ব্যবস্থায় একেবারে খোলামেলা ডিজাইন আনে এবং তাদের সরবরাহকারীদের ওপর অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেনি। আমরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে একটি অসফল মামলা থেকেও একই ফল আশা করতে পারি।
সর্বশেষ, ফেসবুকের বিরদ্ধে একটি আগ্রাসী মামলা গুগল ও আমাজনের মত অন্য জলহস্তীদের তাদের নিজ ক্ষেত্রগুলোতে শ^াসরুদ্ধকর প্রতিযোগিতার ব্যাপারে দুইবার চিন্তা করাবে এ ভয়ে যে তারাও এ রকম মামলায় পড়তে পারে। সরকার যদি এ মুহূর্তটিকে ‘ফ্রি’ প্রোডাক্টের পূর্ণ ব্যয়ের ব্যাপক দৃষ্টিপাত মূলক একটি কার্যকর প্রতিযোগিতা মান পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে ব্যবহার করে তাহলে গোটা শিল্পক্ষেত্রেই তার প্রভাব পড়বে।
বিকল্প আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা যদি ব্যবস্থা না নেই, ফেসবুকের মনোপলি আরো সুরক্ষিত হবে। বিশে^র অধিকাংশ ব্যক্তিগত যোগাযোগ হাতে থাকা ফেসবুক প্যাটার্ন ও ট্রেন্ডের জন্য এগুলোকে খনি করতে পারে। এ দিয়ে অনাগত দিনগুলোতে প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে সুবিধা নিতে পারে। আগেই এ বিপদের হুঁশিয়ারি না দেয়ার দায় আমি নিচ্ছি। ২০১৬ সালে নির্বাচনী ফল এবং ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের মনোপলির বিপদ সম্পর্কে আমাকে সচেতন করে তোলে।
ফেসবুক ও অন্যান্য মনোপলির জবাবদিহির একটি অধ্যায় হয়ত শুরু হবে। সম্মিলিত ক্রোধ বাড়ছে এবং নেতাদের নতুন সহকারীদের অভ্যুদয় ঘটছে। ক্যাপিটল হিল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মধ্যে ডেভিড সিসিলাইন মনোপলি ক্ষমতা রোধে বিশেষ আগ্রহ প্রদর্শন করেছেন।
আর আরো তদারকির সিনেটর ওয়ারেনের আহবানকে সমর্থন করেছেন সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার ও টেড ক্রুজ। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেসন ফারম্যানের মত অর্থনীতিবিদরা মনোপলির ব্যাপারে কথা বলছেন। লিনা খান, ব্যারি লিন ও গণেশ সীতারামনের মত কিছু আইন পন্ডিত আরো অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
ফেসবুক আজ এত বিশাল ও এত ক্ষমতাশালী যে তা আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। সরকারি কর্মকর্তা, পন্ডিত ও অ্যাক্টিভিস্টদের পদক্ষেপকে আমাদের সমর্থন দিতে হবে। মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক বেঁধে রাখতে পারে না, আমাদের সরকার পারে। (নিবন্ধকার ক্রিস হিউজ ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রকল্পের কো-চেয়ারম্যান ও রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের উর্ধতন উপদেষ্টা।)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।