পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বোমা ফাটালেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি সবাই মিলে বিএনপি জোটকে শক্তিশালী করতে নিজের প্রস্তুতির কথা জানালেন। বললেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেও মুক্তিযুদ্ধের সময় মরিনি; এবার স্বৈরাশাসককে হঠাতে জীবন দিতে আমি প্রস্তুত। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এলডিপি আয়োজিত ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া সম্ভব নয়। তারেক রহমানের পক্ষেও লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদেরই সেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি সেই দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, বিএনপিকে অনুরোধ করব, বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করব; আপনারা নেতৃত্ব দেন, তা না হলে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বসে থাকলে চলবে না।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট। কিন্তু কর্নেল (অব.) অলি আহমদ অভিযোগ তোলেন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা সরকারের এজেন্ট হিসেবে এসেছিল। তারা টাকাও খেয়েছেন; কে কোথায় কত টাকা নিয়েছেন সেটাও তিনি জানেন বলে জানান কর্নেল অলি। অতঃপর বিএনপির ভেতরেই ‘ড. কামাল হোসেন ভাড়াটে নেতা’ অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। একাদশ সংসদ ‘অবৈধ’ ঘোষণা দিয়ে পরে হঠাৎ এমপিদের শপথ গ্রহণ নিয়েও বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের অভ্যন্তরে বিরোধ বাঁধে। অনেকেই ইঙ্গিত দেন যে ড. কামালসহ অন্যান্য নেতারা বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই বিএনপিকে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে নিতে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন।
গতকাল প্রবীণ রাজনীতিক অলি আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এক জায়গায় একত্রিত হোন। আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন। তা না হলে আপনাদের হাত শক্তিশালী করার জন্য আমাদের বলেন, আমরা সেটা করতে রাজি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোগী সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বৈরাশাসকের হাতে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। বিএনপির যারা আছেন, আপনারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। কারা কারা আসবেন, আমাদের সাথে আসেন। তিনি আরো বলেন, এলডিপিকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই। আপনারা নতুনভাবে এটার নামকরণ করেন। আমার নেতৃত্বে আসতে হবে, এটাও নয়। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ নেতৃত্ব দিতে পারে, তার নেতৃত্বেও আমরা কাজ করতে প্রস্তুত; যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে জাতির কাছে। যে জাতির সঙ্গে বেইমানি করেনি, যার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যে কারও সাথে আপস করবে না, দুর্নীতির কাছে মাথা নত করবে না। তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
‘বিএনপি সংসদে গিয়ে সরকারকে বৈধতা দিয়েছে’ মন্তব্য করে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনীতির এই বীরপুরুষ বলেন, এখানে ২০ দলীয় জোটের অনেকে আছেন। আপনাদের অনুরোধ করব, অন্যদিকে তাকানোর সুযোগ নেই। আপনারা এখানে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে ব্যাখা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আসলে আপনাদের এটার মূল স্পিরিটটা দেখতে হবে। বিএনপি সংসদে গেছে, এটাই হলো বাস্তবতা। বিএনপি এ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে- এটাই হলো বাস্তবতা।
দেশের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন ও স্পষ্টভাষী নেতা হিসেবে পরিচিত কর্নেল (অব.) অলি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন মানে এটা নয় যে, আড়াই বছর পরে নির্বাচন হবে। এটা কালও হতে পারে, পরশুও হতে পারে। আপনাদের কে বলেছে আগামী নির্বাচনও এ সরকারের অধীনে হবে? এ সরকারের অধীনে তো আমরা নির্বাচন করে দেখলাম। এরা তো দিনের বেলা নির্বাচন করে না। কারণ তারা দিনের আলোতে ভয় পায়, রাতের বেলা অন্ধকারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তারা নিশাচর, তাই আমাদেরও মশাল হাতে নিয়ে বের হতে হবে। নিশাচরদের তালাশ করে বের করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরোয়ার, গোলাম মাওলা রনি, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, নিলুফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।