পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমি মনে করি না কোনো খারাপ বিশ্বাস নিয়ে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে মনে করি যে এটা এ যুক্তিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা যে নিয়ন্ত্রকদের আরো এগিয়ে যাওয়া ও কোম্পানি ভেঙ্গে দেয়া প্রয়োজন। ফেসবুক আরো কিছু নতুন আইনের ব্যাপারে ভীত নয়। ভীত একটি অবিশ্বাস (অ্যান্টিট্রাস্ট) মামলা এবং এ ব্যাপারে জবাবদিহিতার ধরনের ব্যাপারে প্রকৃত সরকারি তদারকির কারণে যা সৃষ্টি হবে।
আমরা ওষুধ কোম্পানি, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কোম্পানি, গাড়ি নির্মাতা বা ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইডারদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করার জন্য ক্যালসিফাইড আইন বা স্বেচ্ছামূলক কমিশন প্রত্যাশা করি না। সংস্থাগুলো এটা নিশ্চিত করতে এ সব শিল্প তদারকি করবে যে প্রাইভেট মার্কেট জনসাধারণের মঙ্গলে কাজ করে। এ সব ঘটনায় আমরা সবাই যা বুঝি যে সরকার জৈব বাজারে অনধিকার চর্চা করা কোনো বাইরের শক্তি নয়, বরং সরকার তাই যা একটি গতিশীল ও সুষ্ঠু বাজার তৈরি করে। এটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং বা বা বিমান ভ্রমণ বা ওষুধ প্রস্তুতকারক সবার ক্ষেত্রেই সত্য হওয়া উচিত।
২০০৬ সালের গ্রীষ্মে ইয়াহু ফেসবুককে ১০০ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম মার্ক এ প্রস্তাব গ্রহণ করুক। তাহলে কোম্পানিতে আমার সামান্য মালিকানাতেও আমি বহু লাখ ডলারের মালিক হতে পারতাম। নর্থ ক্যারোলাইনার ২২ বছর বয়সী এক তরুণের জন্য এ পরিমাণ অর্থ ছিল অকল্পনীয়। আমি একা নই, কোম্পানির প্রতিটি লোকের চাওয়াই ছিল আমার মত। এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কথা বলা একটা ট্যাবু। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত আমরা দুইজন যখন একা ছিলাম, মার্ককে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়াহুর প্রস্তাবের ব্যাপারে কি ভাবছ? সে কাঁধ ঝাঁকাল ও এক কথায় উত্তর দিল- টেরি সেমেলের (ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী) জন্য আমি কাজ করতে চাই কিনা তা আমি জানি না।
মার্কের হয়ত কখনোই কোনো বস থাকবে না, তবে তার ক্ষমতার বিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। আমেরিকান সরকারের দুটি জিনিস করা দরকার- ফেসবুকের মনোপলি ভেঙে দেয়া এবং কোম্পানিটিকে আমেরিকার জনগণের কাছে অধিকতর জবাবদিহি করতে একে আইনি নিয়ন্ত্রণে আনা।
প্রথমত, ফেসবুককে বিভিন্ন কোম্পানিতে ভাগ করা উচিত। বিচার বিভাগের সাথে মিলে এফ.টি.সি.র উচিত ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণ বাতিল করে অবিশ্বাস আইন কার্যকর করা। কয়েক বছরের জন্য ভবিষ্যত অধিগ্রহণ নিষিদ্ধ করা। এফ.টি.সি.র এ সব একীকরণ আটকানো উচিত ছিল। তবে এখনো খুব দেরী হয়ে যায়নি। খারাপ সিদ্ধান্ত সংশোধনের পূর্ব নজির আছে যেমন হয়েছিল ২০০৯ সালে। হোল ফুডস অবিশ্বাস অভিযোগের সমাধান করেছিল ওয়াইল্ড ওটস ও যেসব স্টোর তা কয়েক বছর আগে কিনেছিল সেগুলো বিক্রি করে দিয়ে।
কিছু প্রমাণ আছে যে আমরা সেদিকেই অগ্রসর হতে পারি। সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ফেসবুক একীকরণ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ফেব্রুয়ারিতে এফ.টি.সি. প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা মনিটর করা এবং পূর্বের একীকরণগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা ঘোষণা করেছে।
ভেঙে দেয়াটা কিভাবে কাজ করে? ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে বিসর্জন দিতে ফেসবুকের সংক্ষিপ্ত সময় থাকবে। তিনটিই পৃথক কোম্পানি হবে। ফেসবুক শেয়ার হোল্ডারদের প্রাথমিক ভাবে নতুন কোম্পানিগুলোতে শেয়ার থাকবে। মার্ক ও অন্যান্য নির্বাহীদের সম্ভবত তাদের ব্যবস্থাপনা শেয়ার ছেড়ে দিতে হবে।
এখন পর্যন্ত ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ মূল কোম্পানির মধ্যে স্বতন্ত্র ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। কিন্তু সময় মূল্যবান। ফেসবুক তিনটিকে একীভ‚ূত করার জন্য দ্রæত কাজ করছে যা তাদের বিচ্ছিন্ন করা এফ.টি.সি’র জন্য কঠিন করবে।
কিছু অর্থনীতিবিদের সন্দেহ যে ফেসবুক এই ব্যাপক প্রতিযোগিতাকে উদ্দীপ্ত করবে, কারণ ফেসবুক একটি স্বাভাবিক মনোপলি। পানি ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ গ্রিডের মত ক্ষেত্রগুলোতে স্বাভাবিক মনোপলির উদ্ভব ঘটেছে যেখানে ব্যবসায় প্রবেশের মূল্য খুব বেশি। কারণ সেখানে পাইপ বা বিদ্যুৎ লাইন বসাতে হয়। কিন্তু এগুলো অতিরিক্ত খদ্দের যোগ করতে সস্তা থেকে সস্তায় সেবা দিতে হয়। অন্যকথায়, একটি কোম্পানির অবৈধ কর্মকান্ড নয়, ব্যবসা পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক ভাবে মনোপলির সৃষ্টি হয়। তাছাড়া, স্বাভাবিক মনোপলির সমর্থকরা প্রায়ই এ কথা বলেন যে তাদের দ্বারা ভোক্তাদের লাভবান করেন। কারণ তারা অন্য যে কারো চেয়ে অধিক সস্তায় সেবা দিতে পারেন।
ফেসবুক বস্তুত বেশি মূল্যবান যখন সেখানে অনেক বেশি লোক যুক্ত। ব্যবহারকারীর জন্য অনেক বেশি সংযোগ ও শেয়ার করার অনেক বেশি বিষয় আছে। কিন্তু সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবসায় প্রবেশের মূল্য তত বেশি নয়। একটিমাত্র প্রাধান্য বিস্তারকারী সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কিং পেয়ে দেশ লাভবান হবে, তার সপক্ষে ভালো কোনো যুক্তি নেই।
এখনো অওনকেই উদ্বিগ্ন যে ফেসবুক বা অন্য আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ভেঙে দেয়া একটি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি অপরিমেয় ডাটা ও কমপিউটিং পাওয়ার চায়। শুধু ফেসবুক, গুগল ও আমাজনের মত বড় কোম্পানিই এ বিনিয়োগ করতে পারে। আমেরিকার কোম্পানিগুলো যদি ক্ষুদ্র হয়, তাহলে চীনা কেম্পানিগুলো আমাদের ছাড়িয়ে যাবে।
বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখলে নিশ্চেষ্ট থাকা যায় না। যদি ভেঙেও যায় তাহলেও ফেসবুক নতুন প্রযুক্তিগুলোতে শথ শত কোটি ডলার বিনিয়োগ ক্ষমতার একটি বিশাল লাভজনক ব্যবসা হবে। অধিক প্রতিযোগিতামূলক বাজার শুধু এ সব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। চীনারা যদি সামনে এগিয়ে যায় আমাদের সরকার গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারে। তারা আজ চীনা ৫জি প্রযুক্তিকে আটকানোর জন্য করছে। ঠিক সে রকম কৌশলগত বাণিজ্য নীতি অনুসরণ করতে পারে।
সরকারের জন্য ফেসবুক ভেঙে দেয়ার খরচ হবে শূন্য এবং অসংখ্য লোক অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পমেয়াদি অধিগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করবে যে প্রতিযোগীরা ও সেগুলোর উপর বাজি ধরা বিনিয়োগকারীদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
কোনো কোম্পানি ভেঙে গেলে তার পরবর্তী বছরগুলোতেও যেমন শেয়ার হোল্ডাররা লাভ পান তেমনি ফেসবুক ভেঙ্ েগেলেও তার শেয়ার হোল্ডাররা সম্ভবত লাভ পাবেন। যে সব কোম্পানি নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল গঠিত ছিল। ভেঙে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাদের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং কয়েক বছর পর ৫ গুণ হয়। ১৯৮৪ সালে এটিঅ্যান্ডটি ভেঙে যাওয়ার দশ বছর পর এর উত্তরাধিকারি কোম্পানিগুলোর মূল্য তিনগুণ বেড়েছিল।
তবে সবচেয়ে বড় বিজয়ী হবে আমেরিকার জনগণ। (আগামীকাল সমাপ্য)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।