মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপরে আরোপিত শুল্ক হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ করতে যাচ্ছে চীন। গতকাল সোমবার চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে। চীনা পণ্যের উপর শুল্ক আরো বৃদ্ধি করতে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই ঘোষণা দেয়া হলো। তবে, এই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ জুন থেকে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে ও শেষবারের মতো অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারে চাপ দিতেই এই সময় হাতে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার ট্রাম্প প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে শুল্ক হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। তিনি শুধু নতুন এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি। তিনি একই সঙ্গে আরও ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ সম্পর্কিত এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, শুল্ক থেকে প্রাপ্ত ১০ হাজার কোটি ডলার অর্থ কৃষিপণ্য কেনায় ব্যয় করা হবে, যা মানবিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের মোট আমদানি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়েও কম। যার ফলে সমানে সমানে শুল্ক আরোপ করা সম্ভব নয় দেশটির পক্ষে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চীন থেকে আমদানিকৃত ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র ১০% শুল্ক বাড়ালেও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্যের উপরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান এই টানাপোড়েনের মধ্যে চীন জানিয়েছে, বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের কোনো ভয় নেই। তবে এমন লড়াইয়ে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না। তাই চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না।
গত শুক্রবার চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি এমন মন্তব্য করে জানিয়েছিলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতাই হবে সবচেয়ে ভালো নীতি, তবে নিজের মৌলিক নীতির প্রশ্নে বেইজিং কোনো আপস করবে না।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মতবিরোধ নিয়ে কয়েক মাস আলোচনা চালিয়েও কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি না হলে চীন থেকে আমেরিকায় রফতানি করা সব ধরনের পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক বসানো হবে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।