Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গী ইস্যুতে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র বিজ্ঞাপন নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ৩:২০ পিএম

গতকাল রোববার দেশের প্রথম সারির কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় জঙ্গী ইস্যুতে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। সেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গী সদস্য শনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামকসমূহ এবং রেডিক্যালাইজেশনের চারটি ধাপ উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞাপনের শেষাংশে বলা হয়, ‘আপনার পরিবারে বা আশেপাশে কারো মধ্যে এ লক্ষণসমূহ দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।’ বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। জঙ্গী সদস্য শনাক্তকরণের কয়েকটি নিয়ামকের সাথে নেটিজেনরা একমত পোষণ করলেও অধিকাংশ নিয়ামকসমূহ বিশ্বের সকল মুসলমানের মধ্যে বিদ্যামান আছে বলে মনে করছেন তারা। পাশাপাশি এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। তাই এই বিজ্ঞাপনের তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ বিজ্ঞাপনটি তার ফেইসবুকে শেয়ার করে লিখেন, ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জঙ্গীর লক্ষণরেখা প্রকাশ করেছে। এদের কয়েকটি পয়েন্টের সাথে আমি একমত। কিন্তু এখানে এমন কিছু লক্ষণ রেখা তুলে ধরা হয়েছে যা বিশ্বের সকল মুসলমানের মধ্যে আছে, বা বিশ্বের সকল মুসলমানের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে এমন কিছু লক্ষণকে জঙ্গী-উপাদান বলে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এটা সরাসরি মুসলিম আক্বীদার সাথে সাংঘর্ষিক এবং মুসলমানদের জঙ্গী বলে চিহ্নিত করার পাঁয়তারা বলে মনে করি। আমি এর প্রবল প্রতিবাদ করছি। এ ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামসহ সকল ইসলামী সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য জানতে চাই। শাহাবাগী হুজুরেরা দুলে থাকুন।’

‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আসিফ রায়হান স্টাট্যাস দেন, ‘বর্তমান সময়ে ধর্মের পথে থাকাও বড্ড দায়! হায় রে! সমাজ ও সমাজব্যবস্থা!’

‘...... এইরকম ইসলামোফোবিক প্রকাশনা কোন অমুসলিম দেশেও সম্ভব না। সম্ভব হলো একমাত্র ....... .... দেশে।’ - লিখেন আমান আবদুহু নামে এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী।

আবদুর রহিমের প্রশ্ন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে কেউ মামলা করে না কেন?’

‘এদেরকে এখনই প্রতিরোধ করতে হবে। না হয় ভবিষ্যতে এদেশের ঈমানদার মুসলমানদের কপালে অনেক দুঃখ আছে।’ - উদ্বেগ প্রকাশ করেন মহসিন আলম।

নূহান ইনতেখাবের মন্তব্য, ‘আল্লাহ তায়া’লা ই এদের বিচার করবেন।’

উল্লেখ্য, গত বছর ৭ জুলাই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আত্মপ্রকাশ করে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ