বরিশালের ১১ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হলেও থানা থেকে পালিয়ে যাবার পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার সকালে ফের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিশুপার্ক কলোনীর পলাশ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। পাশাপাশি সে মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল। পলাশের বিরুদ্ধে থানায় অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসী ঘটনার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খান মো. জামাল হোসাইনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে পলাশ। এই খবরে মহানগর পুলিশের কোতয়ালী ও কাউনিয়া থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে শিশুপার্ক কলোনী থেকে গ্রেফতার। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে কোতয়ালী থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অস্ত্র মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে। এ সময় দুই থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সেখান থেকে একটি বগি দা, একটি চাপাতি ও চারটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পলাশের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের এবং পরবর্তীতে গভীর রাতে কাউনিয়া থানায় সোপর্দ করে কোতয়ালী পুলিশ। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে পলাশকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে থানার হাজতখানায় নেয়ার সময় পলাশ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে শুরু হয় তোলপাড়। তখন এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে পুনরায় গ্রেফতার অভিযানে নামে শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কাউনিয়া থানা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য। কিন্তু সে আত্মগোপন করায় রাতভর অভিযানেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও বেকায়দায় পরে পুলিশ। তবে পুলিশ পলাশকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আশুতোষ দাস বাদি হয়ে পলাশের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করে।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে পলাশকে কাউনিয়া থানাধীন কমিশনার গলির একটি গোপন কক্ষে পাওয়া যায়। শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশকে থানা হেফাজতে রেখে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে কাউনিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।