প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আক্বীদা আমল যাচাই বাছাই ছাড়া শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত অথবা শরীয়ত বিরোধী কাজে ব্যবহার করে এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যাকাত প্রদান করা জায়িজ নয়। শরীয়ত অনুযায়ী যিনি সবচেয়ে বেশী তাক্বওয়া পরহিযগার এবং সুন্নতের পাবন্দ তার মাধ্যমে যাকাত দিলে সুষ্ঠু বন্টনের দ্বারা দারিদ্র বিমোচন সম্ভব হবে এবং যাকাতের পরিপূর্ণ ফযীলত পাওয়া যাবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিমখানার উদ্যোগে “পবিত্র যাকাত আদায় করা ফরজ এবং আত-তাকবীমুশ শামসী সন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, গবেষক এবিএম রুহুল হাসান। এছাড়া পবিত্র যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ এবং আল্লামা মুফতি মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, পবিত্র যাকাত আদায় না করলে মাল সম্পদ নষ্ট হয়, মিশ্রিত হয়ে অন্য মালসম্পদও হারাম হয়, নামায ও দোয়া কবুল হয় না, স্বয়ং আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হন ও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তবে যাকাত আদায় করলে উল্লেখিত বিষয়াবলি থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দোয়া পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং যাকাতদাতার অভিভাবক হয়ে যান। (তবারানী, বুখারী, তাফসীরে কুরতুবি, মিশকাত শরীফ)
বক্তারা বলেন, যাদের ঈমান নাই, আমলে কুফরী রয়েছে, হারাম কাজে লিপ্ত, ফাসিক-ফুজ্জার ব্যক্তিকে পবিত্র যাকাত দেয়া জায়েজ নয়। লোক দেখানোর জন্য (রিয়া) পবিত্র যাকাত প্রদান করা এবং পবিত্র যাকাত মেলার নামে পবিত্র যাকাতকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাও জায়েজ নয়।