মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নির্বাচন কমিশন সে দেশের সমস্ত নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, তালিকায় নাম না ওঠায় সে দেশের কোটি কোটি মানুষ ভোটাধিকার-বঞ্চিত হচ্ছে, যার একটা বড় অংশ মুসলিম ও দলিত শ্রেণীর সংখ্যালঘু। তবে কমিশন মার্কিন স¤প্রচারমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছে, তারা নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। দিল্লির যমুনা নদীর তীরে একখন্ড জমি চাষ করতেই প্রচন্ড খাটুনি করতে হয় মোহাম্মদ মুজাবিরকে। অপরিশোধিত স্যুয়ারেজের পানি আর কারখানার বর্জ্যবাহিত নদীটি ভারতের অন্যতম দূষিত নদী। রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই নদীর দূষণ ছাড়াও ৫৫ বছরের মুজাবিরের আরও বড় শঙ্কা রয়েছে। অনুর্বর জমিতে শস্য ফলাতে সার পাওয়ার সাহায্য দরকার হতে পারে তার। সিএনএনকে তিনি বলেন, বৃষ্টি আসতে প্রায়ই দেরি হয়। জমিতে যা উৎপাদন করেন তা দিয়ে স্ত্রী আর পাঁচ সন্তানের ভরণ-পোষণ করাই কষ্টকর হয়ে যায় তার। সামান্য কিছু লাভ হলেও তা জমির মালিকের ভাড়া পরিশোধেই চলে যায়। তিনি বলেন, কোনও সঞ্চয় নেই। আর এখন তার আশঙ্কা ভারতের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নিজের হতাশা নিয়ে কিছু বলার সুযোগই পাবেন না। এ বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে নেওয়া উদ্যোগের ফলে কোনও ভোটারই বাদ পড়বে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ওই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি কর্মকর্তারা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন আর বাসিন্দাদের ভোটের প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দিয়েছেন। এসব বাসিন্দাদের অনেকেই নিরক্ষর। তবে যমুনা নদীর তীরে একটি অস্থায়ী কুড়ে ঘরে স্ত্রী আর পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাসকারী মুজাবির জানান, তার বাড়িতে কেউ আসেনি। বলেন, কোনও দলের লোকেরা এখানে আসে না। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। ২০১৪ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন মুজাবির। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মুজাবিরের ধারণা, এবার তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। নিজের মতো ক্ষুদ্র কৃষকেরা ভারতের মূল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি থেকে কোনওভাবে লাভবান হতে পারবে, তেমন আশা নেই ক্ষুদ্র কৃষক মোহাম্মদ মুজাবিরের। রেজিস্ট্রেশন আর ভোটার পরিচয়পত্র থাকার পরও এখনও তিনি জানেন তা, ভোটার তালিকায় তার নাম আছে কিনা। ওই তালিকাভূক্তি ছাড়া রবিবার ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে দিল্লির অন্যদের সাথে ভোট দিতে পারবেন না তিনি। পর্যবেক্ষক সংস্থা মিসিং ভোটারস-এর সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এদের অনেকেই সংখ্যালঘু মুসলমান বা নিম্নবর্গের দলিত স¤প্রদায়ের। ওই রিপোর্টের লেখকেরা বলেন ‘ধীর কিন্তু স্থির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হয়েছে আর রাজনৈতিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে’। ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, তারা সচেতনতা প্রচারাভিযানের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় নিজেদের তালিকাভুক্ত করতে যথেষ্ট সময় দিয়ে নাগরিকদের প্রয়োজনীয় নোটিশ দিয়েছে। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।