বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁয় হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি শওকত হোসেন নাম পরিচয়দানকারী আনোয়ার হোসেন(৪৩) নামের এক ভুয়া বিচারপতি কে গ্রেফতার করেছেন নওগাঁর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত প্রতারক আনোয়ার হোসেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার টংগুয়া ধনেশাহপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম জানায় পোরশা থানার প্রকাশ্য দিবালোকে চাঞ্চল্যকর আতিবুর হত্যা মামলা যার (জিআর নং ১১০/১৭) ২৪ জন আসামীর মধ্য থেকে ১২ নং আসামী তৌফিক শাহ চৌধুরীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) ও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমকে (এডিশনাল সিজিএম) কে গত ৫ মাস যাবৎ বিচারপতি শওকত হোসেন পরিচয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন ঐ প্রতারক আনোয়ার হোসেন।
পুলিশ সুপার আরো জানায়, ভুয়া বিচারপতি পরিচয়ে প্রতারক আনোয়ারের এসব কর্মকান্ডের সাথে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা, সরকারী কর্মকর্তা ও আদালতের কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা আছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি শওকত হোসেন এক সময় নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নওগাঁর মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি শওকত হোসেনের পরিচয় ছিল। এই সুবাদে বিজ্ঞ (সিজিএম) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি শওকত হোসেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করে জানতে পারেন যে তিনি উক্ত মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোথাও কোন টেলিফোন করেন নাই। এতে করে সিজিএম নিশ্চিত হোন যে, হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি পরিচয়দান কারী একজন প্রতারক ও ভুয়া ব্যক্তি। এর পরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের সহায়তায় ডিবি পুলিশের মাধ্যমে উক্ত ভুয়া বিচারপতির মোবাইল নাম্বার ট্যাগ করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাজেদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার টংগুয়া ধনেশাহপাড়া গ্রামে গিয়ে প্রতারক আনোয়ার হোসেন কে তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করেন। আটক কৃত আনোয়ার হোসেন কে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। তার দেওয়া তথ্য মতে জেলার পোরশা উপজেলার পোরশা বাঁশবাড়ী গ্রামের মৃতঃ আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব শাহ্ এর ছেলে (৫৮) কে নওগাঁ শহরের সদর হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলাটির তদন্তকারী অফিসার এস আই মিজানুর রহমান বিজ্ঞ অতিরিক্ত সিজিএম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর আদালতে প্রতারক আনোয়ার হোসেনের ১০দিন ও তৌফিকুর রহমান শাহ চৌধুরীর ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত প্রতারক আনোয়ার হোসেনের ৫দিন ও তৌফিকুর রহমান শাহ চৌধুরীর ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার জানান, তবে অধিক তদন্তের স্বার্থে তিনি ওই সব তথ্য গোপন রাখেন। মামলার তদন্তকারী এস আই মিজানুর রহমান জানান, প্রতারক আনোয়ার হোসেন ফোনে কথা বার্তায় অত্যন্ত স্মার্ট ও সুচতুর এবং তৗফিকুর রহমান শাহ চৌধুরী পোরশা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তৗফিকুর রহমান শাহ চৌধুরীকে জেল হাজতে প্রেরণ কর হয়েছে এবং আনোয়ার হোসেনের রিমান্ড অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।