Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ উনের

জাহাজ আটকের দাবি, উ.কোরিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নয় : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশটির সামরিক বাহিনীকে আক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া সফল ভাবে চালানোর একদিন পর এ নির্দেশ দিলেন তিনি। আমেরিকার সঙ্গে অচল হয়ে পড়া পরমাণু আলোচনার মধ্যে এ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ শুক্রবার জানিয়েছে যে, অগ্রবর্তী ফ্রন্টগুলোতে মোতায়েন প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কিম। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্টে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় যুদ্ধের পুরো প্রস্তুতির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া আর আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে তিনি মনে করেন না। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া নতুন করে দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এদিকে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরে উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় কেউ সন্তুষ্ট নয়। তবে এরপরও পিয়ংইয়ংয়ের জন্য আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত আছে। অন্যদিকে, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ফেব্রæয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর ক্রমেই অধৈর্য হয়ে ওঠে পিয়ংইয়ং। কিম বাজে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিহিত করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মাসে কৌশলগত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র পরীক্ষার কথা স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। গত ৪ মে দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানায় তারা। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার একটি কার্গো জাহাজ আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিচার বিভাগের দাবি, ওই জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রফতানি পণ্য। দেশটির কয়লা রফতানির ওপর জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কিম জং উন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুতি রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন যেন যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে উত্তর কোরিয়া।’ কিম জং বলেন, ‘দেশের প্রকৃত নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে শক্তিশালী বাহিনী থাকা প্রয়োজন যারা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষম। গত বছর পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ এবং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালানোর ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কেসিএনএ, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Rahman Sadman ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    কুরিয়াকে উপদেশ দেবার কোন প্রয়োজন নেই।কুরিয়া ভাল করেই জানে,কখন কি করতে হবে,কারণ রাশিয়া এবং চীন পাশে আছে--->> প্রয়োজনে কখন কি করতে হবে তা মাথায় রেখেই কাজ করছে।আমি তো মনে করি--- ইতিমধ্যে কুরিয়া তার টার্গেট পূরণ করে ফেলেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jeevan Bd ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে আমেরিকা নমীয়নতা দেখাচ্ছে আসলে যমকে সবাই ভয় পাই।
    Total Reply(0) Reply
  • P. Shuvoraj S ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    এক পার্ল হার্বার আক্রমণের জন্য জাপান যে মাশুল দিল তার জের এখনো টেন্ব নিচ্ছে জাপানীরা। আর উত্তর কোরিয়া নামক দেশের বিকৃত মস্তিষ্কের কিম জং উন বেশি দিন টিকবে না যা একটু লাফালাফি করে নিক। আর এর লাফালাফির একটা জোর যে চীন তা আমেরিকা ঠিকই জানে। কিন্তু চীনের ইতিহাস কি বলে? চীনের ইতিহাস বলে চীন পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালে যুদ্ধে উৎসাহ দিয়ে পরে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হিয়ে যুদ্ধে নামেইনি। আর পাকিস্তান ও ভাংগল আমেরিকা আর চীনের যৌবনে নিজেকে ভেবে। আর চীন যে উত্তর কোরিয়াকে ব্যবহার করছে আমেরিকাকে প্ররোক্ষভাবে ভয় দেখাতে তা স্পষ্ট যেমন চীন পাকিস্তানকে পিছন দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে ভারতের সাথে সম্পর্ক নষ্ট থাকার অবস্থায় রেখে দিতে। এই চীন ৭১ এ যেমন পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধের মাঠে নামেনি ঠিক আমেরিকা, জাপান,দক্ষিন করিয়া, আর পুরো ইউরোপ মিলে সুসংগঠিতভাবে ন্যাটোর শক্তি নিয়ে উওত্তর কোরিয়াকে অথবা তার নেতা কিমকে মারতে বিশেষ সময়্ব বিশেষ ব্যবস্থা নিবে তখন চায়না নামক লাল ফোজকে উওত্তির কোরিয়ার হয়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে কি না তা হল বড় সন্ধেহের ব্যপার। একমাত্র রাশিয়ার ব্যপারটা হল আলাদা। সে যা বলে তা করে অন্তত তা যুদ্ধে নামার জন্য অথবা সপ্তম নৌবহর এর বিপরীতে অষ্টম নৌবহর পাঠানোর ইতিহাস থেকে তা সত্যায়িত করা যায়। তবে একথা সত্য আমেরিকা হিঠাৎ একদিন সকালে একটা গল্প শুনাবে যে কিম জং আমেরিকাকে হামলা করার জন্য রেডি হচ্ছিল তার আগে তাকে উপরে পাঠানো হয়েছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Changma Midhan Ribeng ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্র যতই প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা গড়ে তুলুকনা কেন, উত্তর কোরিয়ার হামলাকে প্রতিরোধ করতে পারবেনা। নিচিহ্ন হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Johirul Islam ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    চিরন্তন মহা সভ্যতার ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়,আজ পর্যন্ত যত যুদ্ধ বিগ্রহ হয়েছে, তার প্রত্যেক টা তেই জয় পেয়েছে- যদি নেতৃত্ব টা তরুণ রা দিয়ে থাকে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ২৭ বছর বলে একটা তরুণত্ব আছে না?
    Total Reply(0) Reply
  • Anisur Rahman ১১ মে, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্রেের মূল ভূখন্ডে যাতে কেউ হামলা চালাতে না পারে সে জন্য সি আই এ সারা বিশ্বে তাদের নেট ওয়ার্ক সাজিয়ে রেখেছে। সেই সাথে আছে তাদের প্রচুর সমর শক্তি যা সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রেখেছে । সে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষা পায় সে দিকটা ও তারা দেখভাল করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ