পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আল্টিমেটাম দিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। গতকাল মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আল্টিমেটামের কথা জানান। আগামী ৮ জুনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের টিকেটে নির্বাচিত ৮ জন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপের পাশাপাশি বিভিন্ন ত্রæটি বিচ্যুতি নিয়ে সন্তোষজনক জবাব দাবি করে তিনি আল্টিমেটাম দেন। বিএনপি’ গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যস জোটের শরিকদের কাছে আগামী একমাসের মধ্যে এব্যাপারে জবাব চেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তিনি তার সিদ্ধান্ত ৮ জুন সংবাদ সম্মেলন করে জানানোর কথা জানান।
মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ে পার্টির বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান কাদের সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারসহ সহ কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী ও তার কন্যা ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে থাকা অসঙ্গতি দুর না করলে জোট ছাড়বে তার দল। গত ৫ নভেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ । গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।
বঙ্গবীর বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নির্বাচনের পর অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। তাছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী কিছু কিছু কাজে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তারা সঠিকভাবে চলতে পারেনি। নির্বাচনি সহিংসতায় আহত-নিহতদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট। এমনকি সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজামায়াত করতে ব্যর্থ হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে জঘন্য নাটক হয়েছে। যা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর কোনও দেশেই এমন নাটকের নজির নেই। কিন্তু ফ্রন্ট নির্বাচন প্রত্যাখান করার পরও গণফোরামের সুলতান মুনসুর শপথ নিলেন, তাকে বহিষ্কার করা হয়। মোকাব্বির খান শপথ নিলে ড. কামাল হোসেন তাকে গেট আউট বলেন। পরে দেখা যায় গণফোরামের বিশেষ সভায় মোকাব্বির খান উপস্থিত হন। এসব নিয়ে মানুষের মধ্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মানুষ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা জবাব দিতে পারি না।
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আল্টিমেটাম দেওয়ার আগে শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসীন মন্টুর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাদের ফ্রন্টের মধ্যকার অসঙ্গতি কথা জানিয়েছেন বলেন তিনি জানান।
এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খলেদা জিয়ার মুক্তি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তার মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জনগণের আদালতেই হবে। প্যারোলে বা অন্ধকারে তার মুক্তি দাবি করি না। তার এমনিতেই জামিন পাওয়ার কথা।
কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের ঐক্যফ্রন্টের অসংগতি দূর করা বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ইতিবাচক দেখছেন জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। গতকাল গণমাধ্যমের কাছে দেওয়াা এক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি রাষ্ট্র যখন চূড়ান্ত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত, জনগণের মালিকানা যখন রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে অপসারণ করা হয়েছে, শাসনতন্ত্র যখন সরকারের ইচ্ছাধীন তখন বিরোধী দলের কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার নৈতিক কর্তব্যবোধে জাগ্রত হয়েই বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের অসংগতি নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন-যা খুবই ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রাম-গণজাগরণের ভিত্তি সৃষ্টি করবে।
আ স ম আবদুর রব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর ঘোষণা হলেও ২৯ তারিখ রাতেই যখন ভোট রাষ্ট্রীয়ভাবে ডাকাতি হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হাইজ্যাক করা হয়েছে তখন জনগণকে নিয়ে যে প্রতিরোধ-সংগ্রাম গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল তা পারেনি। কিন্তু সকল অসংগতি দূর করে বিদ্যমান অপব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের নতুন কৌশল-ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নতুন করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে আনার রাজনীতিকে আরো বেগবান করবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।