Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় বোরো চাষিদের হাহাকার

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে আবদুল হালিম দুলাল | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে নেকবøাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের ফলন কম হয়েছে। এছাড়া ফণির আঘাতেও সর্বশান্ত হয়ে গেছে বোরো চাষিরা। উৎপাদন ব্যয়ের অর্ধেক টাকার ধানও ঘরে তুলতে না পেরে এনজিওর ঋণ ও দেনায় জর্জড়িত কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে চলছে হাহাকার। উপজেলার সবচেয়ে বেশী বোরো উৎপাদন হওয়া মিরুখালী ইউনিয়নে কৃষকদের সাথে সরেজমিনে কথা বললে তাদের এ দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে গত বছর উপজেলায় ৮ হাজার মেট্রিকটন বোরো ধান উৎপাদন হয়। যার সিংহ ভাগ উৎপাদন হয়েছিল মিরুখালী ইউনিয়নে। এ বছরের চিত্র গত বছরের সম্পূর্ণ বিপরিত। বোরো জাতের মধ্যে বিনা-১০, ব্রী-৭৪ ও ২৮। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্রী-২৮ ধান। ইউনিয়নে সহাস্রাধিক একর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
ঘোপখালী গ্রামের কৃষক শাহাদাত খান (৩৫) এর প্রায় ১ একর জমির ব্রী-২৮ ধান ব্লাস্টের আক্রমনে নষ্ট হয়ে গেছে। শাহাদাত জানান, এনজিও থেকে ঋণ এবং দোকান থেকে বাকিতে সার-ওষুধ ক্রয় করে জমিতে দিয়েও ব্লাস্ট রোগ ঠেকাতে পারেনি। এ পর্যন্ত ২০/২২ হাজারের ওপরে খরচ হলেও তার অর্ধেক টাকা আসবে না বলে শাহাদাত জানান। একই গ্রামের সিদ্দিক তালুকদার (৬৫) তার ৬৬ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
ছোট শৌলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন গাজী (৪৮) জানান, প্রায় ২ একর জমিতে বোরো চাষ করে তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যায় হলেও অধিকাংশ ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় অর্ধেক টাকার ধানও তার ঘরে উঠেনি। বড় শৌলা গ্রামের আ. হালিম হাং (৪৮) জানান, তার ১ একর জমিতে বোরো (বিনা-১০) চাষ করে গত বছর ৬০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করলেও এবছর অর্ধেক টাকার ধানও পায়নি। একই গ্রামের নাসির হাং (৩৩) জানান, তার প্রায় ১ একর ব্রী-৭৪ আধা পাকা ধান ক্ষেত ঘূর্ণিঝড় ফণির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব ধানে গজ ফুটে গেছে।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, কৃষকরা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে ধান চারা রোপন করা এবং পরামর্শ মত সঠিকভাবে সার-ওষুধ প্রয়োগ না করায় এ বছর ফলন কম হয়েছে।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ায় ১০ দিন প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরেছেন তাই মাঠের খবর জানা নেই। সরেজমিনে তদন্ত শেষে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোরো চাষিদ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ