মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঠাসিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যের জেরে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এর পরিণাম ভাল হবে না বলে কার্যত মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সাবধান করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য যখন দু’জনের সাক্ষাৎ হবে, তখন যেন লজ্জায় না পড়েন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ‘সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন’ বলেও মন্তব্য সুষমার। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও সুষমার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তেজস্বী যাদব। রাজীব গান্ধী সম্পর্কে মোদির করা ‘ভ্রষ্টাচারী’ মন্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আরএলডি নেতা লালুপুত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ রাজ্যে প্রচারে এসে বারবারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। সেই অভিযোগের জবাবেই মঙ্গলবার পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির সভায় মমতা বলেন, ‘মোদিবাবুরা যখন বাংলায় এসে বলেন তৃণমূল তোলাবাজ, মনে হয় ঠাসিয়ে একটা গণতন্ত্রের থাপ্পড় দিই। নোট বাতিল করে মানুষের টাকা নিজেদের পকেটে কারা ঢুকিয়েছে? কারা তোলাবাজি করে?’
মমতার এই মন্তব্যের প্রতিবাদেই টুইটারে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন সুষমা স্বরাজ। তিনি লিখেছেন, ‘মমতাজি, আপনি আজ সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আপনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে তার সঙ্গে আপনার কথা বলতেই হবে। এই জন্যই আপনাকে উর্দু কবি বশির বদরের কয়েকটি পংক্তি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’ এর পর ওই লাইনগুলিও উদ্ধৃত করেছেন সুষমা— ‘আপনি যত খুশি রেগে যেতে পারেন, কিন্তু আমি আপনাকে শুধু একটাই অনুরোধ করব, পরে কোনওদিন যদি আমরা কখনও বন্ধু হই, তাহলে সে দিন যেন লজ্জা পাবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আগে রাজীব গান্ধীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’ বলে আক্রমণ করেছেন। সুষমার টুইটের পরই সেই প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তেজস্বী যাদব। সুষমাকে তার কটাক্ষ, ‘আশা করি আপনি মোদির (রাজীব গান্ধী সম্পর্কে) বিলো দ্য বেল্ট (ভ্রষ্টাচারী) মন্তব্য শুনেছেন। আপনি ওর (মোদি) চেয়ে বড়, জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ। এই সত্যিটা জানা সত্তে¡ও আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন।’
মোদি যখন রাজীব গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, তখন প্রায় সব বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বিজেপির কারও মুখেই সেই মন্তব্যের নিন্দা করা দ‚রে থাক বরং সবাই মৌন থেকে সমর্থন করে গিয়েছেন। অমিত শাহ আবার পশ্চিমবঙ্গে এসে সরাসরি সমর্থন করেছেন মোদির ওই মন্তব্য। এখানেই তেজস্বীর মতোই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, মোদির মন্তব্য নিয়ে টুঁ শব্দ করলেন না সুষমা, এখন মমতার মন্তব্য নিয়ে কেন এই হুমকির সুর সুষমার গলায়। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।