Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মির্জাপুরে বনের গাছ কাটায় যুবলীগ নেতাসহ দুই ঠিকাদার জেল হাজতে

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ৮:৪৫ পিএম

বন বিভাগের গাছ কাটা মামলায় সখিপুর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ দুই ঠিকাদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বন বিভাগের আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। আজ বুধবার টাঙ্গাইল জেলা বন বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ঠিকাদার হাজিরা দিতে এলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন শেখ ট্রেজার্সের সত্ত্বাধিকারী ও টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো.রবি মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন সাথী (৫০) এবং তার সহযোগী পার্টনার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের খামারচারা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফরহাদ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল হালিম(৫২)। মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আই আর আই ডিপি-২ এর অর্থায়নে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের অধীনে আজগানা ইউনিয়নের আজগানা-মজিদপুর ১৮শ মিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য এক কোটি ৩২ লাখ ৯শত ৬৬ টাকার কাজ পান ঠিকাদার শেখ ট্রেজার্সের সত্ত্বাধিকারী যুবলীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন সাথী। সড়কটি সরকারী বনের ভিতর হওয়ায় বন বিভাগ কাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা টাঙ্গাইল অফিসের বিভাগের কর্মকর্তাগন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং বন আইনে বন বিভাগের গাছ কেটে বনের ভিতর দিয়ে সড়ক করার কোন সুযোগ নেই্ । এছাড়া বনের ভিতর দিয়ে সড়ক করতে হলে অবশ্যই আন্তঃমন্ত্রনালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন বাধ্যতামূলক। কিন্তু আজগানা-মজিদপুর সড়কটি বন বিভাগের সরকারী বনের ভিতর হওয়ায় শেখ ট্রেজার্সের সত্ত্বাধিকারী ও যুবলীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন সাথী ও তার সহযোগীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের কোন অনুমোদন ছাড়াই বনের গাছ কেটে বিক্রি করে সড়ক নির্মাণ করার চেষ্টা করেন। বন বিভাগের আজগানা অফিসের বিট কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে অধ্যাদেশ আইনে গত ২১ এপ্রিল শেখ ট্রেজার্সের সত্ত্বাধিকারী যুবলীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন সাথী ও মো. আব্দুল হালিমকে আসামী করে টাঙ্গাইলের বন বিভাগের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আদালত মির্জাপুর ও সখিপুর থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ায় আজ বুধবার দেলোয়ার ও আব্দুল হালিম বন আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শেখ ট্রেজার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল হালিম তার কাছে অভিযোগ করেছেন, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করেছিল। তাদের চাহিদা মত টাকা না দেওয়ায় ঠিকাদারের নামে বনের গাছ কাটার একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে, যার কোন ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদ্বয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আজগানা ইউনিয়নের অবহেলিত পাহাড়ি এলাকার উন্নয়নে আজগানা-মজিদপুর সড়ক উন্নয়নের প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ ৯শত৬৬ টাকার কাজ হচ্ছে। ঠিকাদার ও তাদের লোকজন বন বিভাগের কোন গাছ কাটেনি। বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ঠিকাদারের নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাঙ্গাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ