নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একই উইকেটে খেলা। সেই একই মেজাজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যাম্পবেল না থাকলেও আরেক ওপেনার সুনিল আমব্রিসকে নিয়ে বড় জুটির ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন শেই হোপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। হতে দেননি আসলে মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪১ ও ৪৩- এই দুই ওভারে ৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা আটকে দিয়েছেন ভালোভাবেই। এ ধাক্কায় স্লগ ওভারটা আর ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারে ক্যারিবীয়দের স্কোর ৯ উইকেটে ২৬১ রান।
সৌম্য সরকার ছন্দে ফিরেছিলেন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে, সেটা ধরে রেখেছেন জাতীয় দলেও। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন এই ওপেনার। জেসন হোল্ডারকে বাউন্ডারি মেরে অষ্টম ফিফটি হাঁকিয়ে খেলছেন সৌম্য। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছেন তামিম ইকবাল। গত ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে খেলা ড্যাশিং এই ওপেনারও তুলে নিয়েছেন নিজের ৪৫তম ফিফটি।
রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত দু’জনের দারুণ বোঝাপড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ। সৌম্য খেলছেন ৬৫ বলে ৭৩ রান নিয়ে, তামিম অপরাজিত আছেন ৮৫ বলে ৫৫ রান করে। জয়ের জন্য মাশরাফির দলের প্রয়োজন ১২৯ রান। হাতে সবক’টি উইকেট।
গতকাল ডাবলিনের ক্লনটার্ফ স্টেডিয়ামে ৪০ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৭ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ৬৪ রান। অথচ এদিনও দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যেমনটা হয়েছিল, তেমনটা হয়নি। ক্যারিবীয়দের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ৮৯ রানে। মিরাজের বলে ৩৮ রান করা আমব্রিস আউট হওয়ার পরপরই সাকিব আল হাসান ফিরিয়ে দিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভোকে (১)। ১ রানের মধ্যে ২ উইকেট ফেলে মিরাজ-সাকিব স্পিনারই যা একটু চাপ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এ চাপ ভালোভাবেই সামলেছেন শেই হোপ-রোস্টন চেজ। দুজন তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় স্কোর এনে দেওয়ার আশা দিচ্ছিলেন।
বাংলাদেশকে যেন প্রিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছেন হোপ! গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ হারলেও হোপ ছিলেন দুর্দান্ত। ৪৩, ১৪৬*, ১০৮*- অসাধারণ তিন ইনিংসের পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন ক্যারিবীয় ওপেনার। আগের ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে ১৭০ রানের পর গতকালও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ‘হ্যাটট্রিক’ করে ফেলেছেন ক্যারিবীয় ওপেনার। ভেঙে দিয়েছেন ভিভ রিচার্ডসের একটি রেকর্ড। কিংবদন্তি রিচার্ডসকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সবচেয়ে দ্রুততম ২০০০ রানের রেকর্ডটি এখন হোপের। ২০০০ রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৪৮ ইনিংস, হোপের লাগল সেখানে ৪৭টি।
হোপের মতো তিন অঙ্ক ছোঁয়া না হলেও ২০ রানে জীবন পাওয়া চেজ পেয়েছেন ফিফটি। দারুণ গতিতে ছুটতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকাতে হলে সাকিব-মিরাজের সঙ্গে ডাবলিনের মেঘলা আবহাওয়ায় আলো ছড়ানো দরকার ছিল পেসারদের। ৪০ ওভার পর্যন্ত সেটি যেন হচ্ছিল না। ৪১তম ওভারের পঞ্চম বলে চেজকে (৫১) ফিরিয়ে মাশরাফি এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু। নিজের পরের ওভারের প্রথম তিন বলে ফেরালেন হোপ ( ১০৯) আর হোল্ডারকে (৪)। ১০ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট- কাল বাংলাদেশের সেরা বোলার মাশরাফিই। ভালো বোলিং করেছেন সাকিব, মিরাজ ও সাইফউদ্দীনও। শুধু মার খেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০ ওভারে ৮৪ রান দিলেও বাঁহাতি পেসারের প্রাপ্তি অবশ্য ২ উইকেট। ৪৭ রান দিয়ে সাইফউদ্দীন পেয়েছেন ২ উইকেট। সাকিব-মিরাজ পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। ৫০০০ রানের অধিকারী সাকিবের (২৪৮) মাইলফলকে পৌঁছুতে চাই আর দুই উইকেট।
উইকেট জমিয়ে রেখে স্লগ ওভারে চড়াও হতে চেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বোলাররা সেটা হতে দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।