নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত রোববার প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তখন ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে অফ স্পিনার সিমি সিংকে উড়িয়ে মারলেন সাইট স্ক্রিনের ওপর দিয়ে। মাঠের বাইরে বসে দেখছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছক্কা দেখে বলে উঠলেন, ‘রিয়াদ যখন ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাট করে, দেখার মতো হয় সেটি।’ খানিক পর স্বগতোক্তির মতো করে অধিনায়ক বললেন, ‘ওর বোলিংটা এখন বড় টেনশন।’
বোলিং নিয়ে ‘টেনশন’ মূলত বোলিং না করতে পারা নিয়ে। কাঁধের চোটের কারণে এই মুহূর্তে বোলিং করার অবস্থায় নেই মাহমুদউল্লাহ। কবে বোলিং করতে পারবেন, সেটির নিশ্চয়তাও নেই। অন্তত ত্রিদেশীয় সিরিজে বোলিং করতে পারছেন না, সেটি একরকম নিশ্চিত।
গত নিউজিল্যান্ড সফর থেকে এই চোট নিয়ে ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কাঁধে ব্যথা ছিল আরও আগে থেকেই। তবে ওই সফরে অনেকটাই বেড়ে যায় ব্যথার তীব্রতা। অসহনীয় পর্যায়ে যাওয়ার পর এমআরআই করানো হয়। তাতে ধরা পড়ে ‘গ্রেড থ্রি টিয়ার’।
এই চোটে ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শঙ্কা বোলিং ও থ্রোয়িংয়ে। সেই শঙ্কার কারণেই খেলেননি নিউ জিল্যান্ড সফরের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বিশ্রাম নিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। বোলিং করার অবস্থায় নেই কাঁধ। এমনকি থ্রোয়িং নিয়েও তাকে থাকতে হবে সতর্ক। লম্বা থ্রো করতে পারবেন না। ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে তার ফিল্ডিং করার সম্ভাবনা সামান্যই।
মাহমুদউল্লাহর বোলিং করতে না পারা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কপালেও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, বিকল্প অনেক কিছুই ভাবতে হচ্ছে তাকে, ‘এখন যা অবস্থা ওর কাঁধের, তাতে এই টুর্নামেন্টে ওর বোলিং করার চান্সই দেখি না। বিশ্বকাপেও করতে পারে কিনা, এই নিয়ে টেনশনে আছি। রিয়াদ বোলিং করতে না পারা মানে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। কারও খারাপ দিন আসতে পারে, কারও ইনজুরি হতে পারে। কাজ চালানোর জন্য তখন বিকল্প ভাবতে হয়।’
টিম ম্যানেজমেন্টের নানা সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার না করালে পুরোপুরি ঠিক হবে না মাহমুদউল্লাহর কাঁধ। বোলিং ও থ্রোয়িং নিয়ে শঙ্কা থাকবেই। এসব নিয়ে দুর্ভাবনায় আছেন স্বয়ং মাহমুদউল্লাহও। তবে বিশ্বকাপে বোলিং করার আশা এখনই ছাড়ছেন না তিনি, ‘ব্যাটিং করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বোলিং করতে গিয়ে যদি কাঁধের অবস্থা খারাপ হয়, তাহলে ব্যাটিংয়েও প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য বোলিংয়ে কোনো ঝুঁকিও নিতে চাই না। এখনও চেষ্টাই করছি না বোলিংয়ের। তবে বিশ্বকাপে যদি খুব প্রয়োজন হয়, অন্তত কয়েক ওভার করতে পারি, সেই আশা ছাড়ছি না। অধিনায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে এসব নিয়ে। দেখা যাক।’
বিশ্বকাপের মাঝামাঝি থেকে শেষদিকে ইংল্যান্ডের উইকেটগুলো ক্লান্ত হলে স্পিনারদের বড় ভুমিকা থাকতে পারে। অন্তত সেই সময় হলেও যেন বোলার মাহমুদউল্লাহর কিছুটা পাওয়া যায়, আপাতত সেই আশায় আছে দল।
বিডিনিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।