পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকায় ৫ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল রফতানির চিন্তা রয়েছে সরকারের। গতকাল ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাতে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বোরো ধান কাটা হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ দিন পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এবার ৫ থেকে ১০ লাখ টন চাল রফতানি করা যায় কি না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই চাল রফতানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারব, দেশের ভাবমর্যাদাও বাড়বে। তবে চাল রফতানির পর কোনো কারণে সঙ্কট দেখা দিলে আমদানিও করা যাবে বলে মত দেন কৃষিমন্ত্রী। বর্তমানে ধান উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বোরো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আরও উদ্বৃত্ত হবে। তবে কতটুকু ধান বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে সংবাদ সম্মেলনে সে তথ্য জানাতে পারেননি মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে ৩৫ জেলার প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা। তিনি বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৩১ জন। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসলের এই ক্ষতিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জনিয়েছেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি তিন হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট দুই হাজার ৩৮২ হেক্টর ও ৭৩৫ হেক্টর পান রয়েছে। আক্রান্ত ৩৫ জেলা হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর। ক্ষতির ধরন ও শতকরা হার তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ বোরো ধান হার্ড ডাফ ও পরিপক্ব অবস্থায় বাতাসে হেলে পড়েছে। যার দুই শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সবজির ক্ষেত্রে মাচা ভেঙে ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বাতাসের কারণে শাক-সবজি ক্ষতি হয়েছে যার ৯ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অধিকাংশ ভুট্টা মোচা অবস্থায় বাতাসে হেলে পড়েছে, এর ১৫ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। দমকা বাতাসে পাট হেলে বা ভেঙে পড়েছে। যা শতকরা হারে পাঁচ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দমকা বাতাসে পানের বরজ ভেঙে পড়েছে। যার এক শতাংশ ক্ষতি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।