Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিক্ষোভে উত্তাল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট, ১৪৪ ধারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট চত্বর। এরই মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শীর্ষ আদালতের বাইরে আইনজীবী ও মহিলা সমাজকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, সঠিক তদন্ত না করেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট দেয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে। এর আগে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী (জুনিয়র কোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট) সুপ্রিমকোর্টে ২২ বিচারপতিকে তার অভিযোগের কথা লিখিতভাবে জানান। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ওই নারীর অভিযোগ ছিল, গত বছর ১০ এবং ১১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তার বাসভবনে ওই নারীকে যৌন হেনস্তা করেন। তাকে আলিঙ্গন করে তার ওপর জোরজবরদস্তি করা হয় এবং তিনি (নারী) চলে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। কভারিং লেটারে ওই নারী একটি এফিডেভিটে বিস্তারিত জানান সবকিছু। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেক্রেটারি জেনারেল সঞ্জীব কুমার সুধাকর কালগাঁওকর বলেন, এই অভিযোগ গগৈয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আনা হয়েছে। এগুলির কোনও ভিত্তি নেই। এই অভিযোগ থেকে গতকাল সোমবার ক্লিনচিট পান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিন বিচারপতির প্যানেল তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। প্যানেলের তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলার শুনানি শেষে তিন বিচারপতিই গগৈকে ক্লিনচিট দেন। তবে তার আগে শুনানির মাঝপথে নিজেই সরে দাঁড়ান শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী। তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে খুশি নন তিনি বলে জানান। তার মতে, এখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এদিকে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিও দেন অভিযোগকারী ওই নারী। তার আশঙ্কা, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তার অভিযোগের সঠিক বিচার পাবেন না। তিনি জানান, “আমার মনে হয় আমি বিচারকদের এই বেঞ্চের কাছে সঠিক বিচার পাবো না। তাই আমি আর এই বিচারকদের সামনে শুনানিতে হাজির হবো না। আমি এই শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালাম।” অভিযোগকারিণীর এই বক্তব্যের পরই মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলা সমাজকর্মী ও আইনজীবীরা। তাদের দাবি, তদন্তে প্রভাব বিস্তার করে সঠিক তথ্যকে ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • জাহিদ ৮ মে, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    সঠিকভাবে বিষয়টির তদন্ত করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Tania ৮ মে, ২০১৯, ৯:৩৩ এএম says : 0
    এখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
    Total Reply(0) Reply
  • Abir Ahmed Jewel ৮ মে, ২০১৯, ৯:৩৪ এএম says : 0
    তদন্তে প্রভাব বিস্তার করে সঠিক তথ্যকে ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Bimal Adhikary ৮ মে, ২০১৯, ৯:৩৪ এএম says : 0
    Dekha jak ses porjonto ki hoy
    Total Reply(0) Reply
  • বিদ্যুৎ মিয়া ৮ মে, ২০১৯, ৯:৩৬ এএম says : 0
    এসব বিক্ষোভে করে কোন লাভ নেই। যা রায় হওয়ায় হয়ে গেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ