পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলো এক ভন্ড পীর। এমন জঘন্য ঘটনা ঘটে সাভারের আশুলিয়ায়। পুলিশ অভিযুক্ত ভন্ড পীরকে আটক করেছে। ধর্ষণের পর হত্যা করে বাগেরহাটে সাত বছরের এক শিশুকে। মাদারীপুরে ধর্ষকের অশ্লীল যৌনাচারে মৃত্যু হয় এক স্কুলছাত্রীর। এছাড়া বড়াইগ্রামে তরুণী ও কুমিল্লায় জামিনে বের হয়ে ধর্ষণ করল গণধর্ষণ মামলার এক আসামি। এদিকে বিভিন্ন ধর্ষণ মামলায় ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ রিপোর্ট :
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ৩জন নারী মুরীদকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভন্ড পীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন (৪০) আশুলিয়ার কুড়গাঁও আমতলা এলাকার সূর্য্য ভিলার মালিক এবং মৃত: (অবঃ) সার্জেন্ট আ. রহিমের ছেলে। তার সহযোগী মকবুল ও হাসনাত পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের সময় চেয়ে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করেছে। এজাহারের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ভন্ড পীর মনির তার প্রতিবেশি এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো এ নারীকে। তারপর ভন্ড পীরের নজর পরে ওই নারীর ছোট বোনের উপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলো। এখানেই শেষ নয় সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভন্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতেও ওই কিশোরি ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষয়টি বিলকিস নামে তার এক খালাকে জানালে সে আশুলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা থেকে জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৮ বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে হাছান মিয়া (৫০) নামে এক চা বিক্রেতাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার হাসানকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটে ফারিয়া (৭) নামের এক সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গত রোববার রাতে অভিযুক্ত আটক মিনহাজুল আবেদিন শোয়েব (১৯)কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে এই ঘটনায় নিহেতের বাবা ওমর আলী বাগেরহাট মডেল থানায় মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।
আটক শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে ইমন হাওলাদারের ছেলে এবং ওমর আলীর বড়ভাই লিয়াকত শেখের মেয়ে শেফালীর ছেলে।
শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা জানান, শিবচরে ধর্ষকের অশ্লীল যৌনাচারে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ইন্নীর । গতকাল আবাসিক হোটেল তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রেমিক রুবেল খান ও আবাসিক হোটেলটির ২ কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রুবেল স্বীকার করে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায়। রুবেলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য মাদারীপুর আদালতে নেয়া হয়েছে। আবাসিক হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রেমিক রুবেলের অশ্লীল যৌনাচার ও ধর্ষণে ইন্নীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। রুবেল লঞ্চ ঘাটে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতো। রুবেল শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজারের তোতা খানের ছেলে। মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন , হোটেলে প্রেমিক রুবেল দ্বারা ধর্ষণের শিকার নিহত নবম ইন্নির অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রুবেল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বড়াইগ্রামে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে (৩২) ধর্ষণ করেছে আকুল হোসেন নামে এক ব্যাক্তি। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার পুলিশ অভিযুক্ত আকুলকে আটক করেছে। আটক আকুল উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
কুমিল্লা : কুমিল্লার হোমনায় গণধর্ষণের এক মামলার আসামি সুমন সরকার (২৯)জামিনে বের হয়ে ধর্ষণ করলেন নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে। এ ঘটনায় রোববার থানায় মামলা হয়েছে। তবে মামলা প্রত্যাহার করতে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে । হোমনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক জানান, সুমনের এ বিরুদ্ধে এর আগেও গণধর্ষণসহ নানা অভিযোগে থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।