পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিদ্যুৎ-পানির সঙ্কটের মধ্যেই শুরু হলো মাহে রমজান। আগামী দিনগুলোতে এ সঙ্কট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে জীনব অতিষ্ঠ। এরমধ্যে দফায় দফায় চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া খেলা। অনেক এলাকায় চলছে পানির হাহাকার। রমজানে বিদ্যুৎ, পানি- দুটোরই চাহিদা বাড়ে।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ইফতার সেহেরি আর তারাবিতে বিদ্যুৎ, পানি পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি আর চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন-পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিগত প্রায় ১১ বছরে চট্টগ্রামে পানি, বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে। এই দুটি খাতের উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তবে এর সুফল এখনও সাধারণ মানুষ পুরোপুরি পাচ্ছে না। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত এই নগরীর ৬০ লাখ বাসিন্দার জন্য এখনও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি। ওয়াসার পানি উৎপাদন বাড়লেও সরবরাহ ব্যবস্থা সেকেলে। নগরীর অনেক ওয়ার্ডে নেই পানির সংযোগ। ডিপ টিউবওয়েলে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি।
সরকারিভাবে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে কোন লোডশেডিং নেই। তবে বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাস্তব চিত্র উল্টো। অনেক এলাকায় রাতে দিনে দফায় দফায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ব্যবধান শহরে কিছুটা কম হলেও গ্রামে একবার বিদ্যুৎ গেলে কবে আসবে তা অনিশ্চিত। সঞ্চালন ব্যবস্থার ত্রæটির কারণে অনেক এলাকায় ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় ঘণ্টায় কয়েক বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আছে লো-ভোল্টেজের সমস্যাও। এতে করে জন দুর্ভোগের পাশাপাশি বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিনষ্ট হচ্ছে।
পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন দাবি করেন চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কোথাও এখন কোন লোডশেডিং নেই। চট্টগ্রামে চাহিদা ১২০০ মেগাওয়াটের বেশি জানিয়ে তিনি গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পিক আওয়ারে এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০০০ থেকে ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। বাকি চাহিদা জাতীয় গ্রীড থেকে পূরণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন বাড়লেও নগরীতে পানি সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। ওয়াসার অব্যবস্থাপনা, সঞ্চালন ব্যবস্থার দুর্বলতাসহ নানা কারণে নগরবাসী সুফল পাচ্ছে না। নগরীতে পানির চাহিদা দিনে প্রায় ৫০ কোটি লিটার। ওয়াসা সরবরাহ দিতে পারে ৩৬ কোটি লিটার, ঘাটতি ১৪ কোটি লিটার। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম আর পাইপ লাইনে ত্রæটি থাকায় দূরবর্তী এবং অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পুরোনো পাইপ লাইনের কারণে ফুল স্পিডে পানি সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। রমজানে যাতে সঙ্কট তীব্র না হয় সেজন্য ওয়াসা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পানি ও বিদ্যুতের সঙ্কটে নগরবাসীর দুর্ভোগ হচ্ছে জানিয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন দৈনিক ইনকিলাবকে এসব সঙ্কট নিরসনে সরকার আন্তরিক। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।