নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল, খাওয়া ও ঘুম- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ক্যাম্পে এই নিয়মেই চলে প্রতিদিন। এরই ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনার চেষ্টা চালিয়ে যায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের মেয়েরা। দেখা যাচ্ছে কেবল ফুটবলই নয়, পড়াশোনাতেও কম যায় না তারা। সারা বছর জাতীয় দলের ক্যাম্পে থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন দুজন নারী ফুটবলার লাবণি আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার।
উইঙ্গার মার্জিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ ও সিনিয়র জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচে একটি গোলও করেছিলেন। ময়মনসিংহের মেয়ে মার্জিয়া এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অনেক সাফল্য আছে মার্জিয়ার নামের সঙ্গে। অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড় লাবণিও মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
সারা বছর ক্যাম্পে ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নারী ফুটবলাররা পড়াশোনা করেন নিয়মিত। সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের সময়ও উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছেন দুজন ফুটবলার। তারা নিয়মিত একাদশেরই খেলোয়াড়। এদের মধ্যে ডিফেন্ডার নার্গিস খাতুন দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নেমেছেন।
দলের অন্যতম সদস্য কৃষ্ণা রানী সরকার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুইটি গোল করেছিলেন। কৃষ্ণা পরীক্ষা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে। টাঙ্গাইলে পরীক্ষার আসন নির্ধারিত থাকলেও পরিবর্তন করে তা নিয়ে আসা হয় কদমতলী বাসাবো স্কুলে। অন্যজন ডিফেন্ডার নার্গিস খাতুন মানবিক বিভাগ থেকে নিয়মিত পরীক্ষা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।