বল হাতে এদিন সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন সাকিব। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, এক ওভার মেডেনও ছিল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। ৪৩ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
ডাবলিনে দ্য হিলস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে জেমস ম্যাককলামের (১০২) সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩০৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে আইরিশরা। জবাবে ৪২.৪ ওভারে ২১৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৩০৮ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটিতে আশা জাগানিয়া শুরু হয় বাংলাদেশের। কিন্তু দলীয় ৫৬ রানে তামিম (২১) আউট হন। স্কোরে পরিবর্তন না আসতেই আরও একটি উইকেটের পতন হয়, ২৬ রানে বিদায় নেন লিটন।
মুশফিকুর রহিম (১১) ও মোহাম্মদ মিঠুন (১৩) বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ হাল ধরেন এই বিপদের সময়। কিন্তু ৫৯ রানের জুটি গড়ে সাকিব বিদায় নিতেই আবার ভেঙে যায় ব্যাটিং লাইনআপ।
সাব্বির রহমান দুই বল খেলে রানের খাতা না খুলে মাঠ ছাড়েন। মেহেদী হাসান মিরাজও (৬) দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। সিমি সিংয়ের বলে নাকানিচুবানি খায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৩৭ রানের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলে বিদায় হন। ফরহাদ রেজা ১৫ রানে আউট হওয়ার পর তাসকিন আহমেদকে ১৪ রানে রান আউট করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে ৯১ রান করা সিমি বোলিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তিনি। দুটি পান টাইরন কেন।
আগামী মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।