নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন শাই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল। দুই ওপেনারের দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে ভেঙেছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড। আর উইন্ডিজ করেছে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর- ৩ উইকেটে ৩৮১ রান। এই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৯ রান করেছিল তারা।
এমন একটি ম্যাচ হারলে কি চলে? তাদের এই দারুণ ব্যাটিংয়ের জবাব দিতে ব্যর্থ আইরিশরা। রবিবার স্বাগতিকদের ১৯৬ রানে হারিয়ে সিরিজে শুভ সূচনা করেছে উইন্ডিজ।
ক্যাসল অ্যাভিনিউয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া হোপের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন শুধুমাত্র এই সিরিজের দলে থাকা ক্যাম্পবেল।
টিম মুরতাঘ ও জশ লিটলের পেস আক্রমণকে তুলোধুনো করে ছেড়েছে ক্যারিবিয়ানের উদ্বোধনী জুটি। নব্বইয়ের ঘরে দাঁড়িয়ে তারা ভাঙেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। ৩৩তম ওভারে মুরতাঘের চতুর্থ বলে দৌড়ে একটি রান নিয়ে ভাঙেন শিবনারায়ন চন্দরপল ও স্টুয়ার্ট উইলিয়ামসের রেকর্ড। ১৯৯৭ সালে ব্রিজটাউনে ভারতের বিপক্ষে ২০০ রানের ওই অপরাজিত জুটির কীর্তিকে পেছনে ফেলেন ক্যাম্পবেল ও হোপ।
কিছুক্ষণ পর হোপ ১১৪ বলে পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পান। পরের ওভারে ৯৯ বলে ক্যাম্পবেলের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে আরেকটি রেকর্ড গড়ে উইন্ডিজ। প্রথমবার ওয়ানডেতে দুই ক্যারিবিয়ানের ব্যাটে শতকের দেখা মিললো।
এখানেই থামেননি তারা দুজন। গড়েছেন ওয়ানডের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। গত বছর জুলাইয়ে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইমাম উল হক ও ফখর জামানের ৩০৪ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েন।
এই রেকর্ডও হয়েছে মুরতাঘের ওভারে। ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দুটি রান নিয়ে এই কীর্তি গড়েন ক্যাম্পবেল। পরের বলে এই ওপেনার ১৫০ রানের ঘরে পৌঁছান। তাকে অনুসরণ করে দেড়শ ছোঁন হোপও। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার দুই ওপেনারের ব্যাটে ১৫০ রানের ইনিংস দেখা গেলো।
অবিশ্বাস্য এই জুটি ভাঙে ৪৮তম ওভারে। দুজনই শিকার হন ব্যারি ম্যাককার্থির। ১৩৭ বলে ১৫ চার ও ৬ ছয়ে ১৭৯ রানে আউট হন ক্যাম্পবেল। ৩৬৫ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান তিনি। হোপ ফিরে যান তিন বল পর। তার ১৫২ বলে ১৭০ রানের ইনিংসে ছিল ২২ চার ও ২ ছয়।
মাত্র ৭ রানের জন্য অক্ষত থাকে যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। অবশ্য এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলেই আছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েল ৩৭২ রান করেন দ্বিতীয় উইকেটে। তবে ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের ৩৩১ রানের জুটিকে টপকে যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ক্যাম্পবেল ও হোপের জুটিটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে ছোট অবদান রাখেন ড্যারেন ব্রাভো (৯*) ও জেসন হোল্ডার (১)।
বিশাল লক্ষ্যে নেমে পেরে ওঠেনি আয়ারল্যান্ড। তারা ৩৪.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৮৫ রানে। কেমার রোচের তোপে মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নেন উইন্ডিজ পেসার। এরপর কেভিন ও’ব্রায়ান ও গ্যারি উইলসনের ১৩১ রানের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিল।
কেভিন ৭৭ বলে ৬৮ রানে বিদায় নিতেই ভেঙে পড়ে আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। তাকে জেসন হোল্ডারের ক্যাচ বানান অ্যাশলে নার্স। পরের ওভারে ৩০ রানে আউট হন উইলসন।
১৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। নার্স তার অষ্টম ওভারে জোড়া আঘাতে গুটিয়ে দেন আইরিশদের। এই অফ স্পিনার ৪ উইকেট নিয়েছেন ৫১ রান দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তিনি করেছেন সেরা বোলিং। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল পেয়েছেন ৩ উইকেট, দুটি নেন রোচ।
রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ক্যাম্পবেল ১৭৯ রানের সেরা ইনিংস খেলেন। ১৭০ রান করেন হোপ। বিশাল এই জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের, আগামী মঙ্গলবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।