মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তরবারি ও বড় আকারের ছুরি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দিতে নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। তবে দৈনন্দিন কর্মকান্ড ব্যবহৃত ছুরি এই নির্দেশের আওতায় আসবে না। ২১ এপ্রিলের ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে শনিবার এমন নির্দেশনা দেয়া হলো। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। লঙ্কান পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা বলেছেন, ছুরি-তরবারির বাইরে কারও কাছে পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্ম থাকলে তা-ও নিকটস্থ থানায় জমা দিতে হবে। শনিবার থেকে চালু হওয়া এ নির্দেশনা রবিবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ২১ এপ্রিলের সিরিজ বিস্ফোরণের পর থেকে দেশজুড়ে দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে লঙ্কান নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তবে পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ রবিবারের মধ্যে এসব অস্ত্র বা পোশাক থানায় জমা দিলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে কি-না; এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর আগে বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হামলা নিয়ে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে। তিনি বলেন, সম্ভবত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রশিক্ষণ নিতে হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মির, কেরালা ও বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিল। তবে তাদের সেখানে যাওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়। হামলার ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও কেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? বিবিসি-র এমন প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের মধ্যে বোঝাপড়ায় হয়তো একটা ফাঁক ছিল। এটি এখন সবারই জানা বিষয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে বলেন, শ্রীলঙ্কায় সবাই স্বাধীন। গত ১০ বছরে সেখানে বড় ধরনের কোনও হিংসা বা হানাহানির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ দেশ হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়েও মানুষের মধ্যে খুব একটা চিন্তা ছিল না। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৫৩ জন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার মাত্র দুই ঘণ্টা আগেই লঙ্কান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল রাতেও দুই দফায় লঙ্কান গোয়েন্দাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিল্লি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা’। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।’ গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এক পর্যায়ে সিরিসেনা জানান, পুলিশের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়নি। হামলার গোয়েন্দা তথ্য গোপন করায় প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্দো এবং পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন সিরিসেনা। বিবিসি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।