রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে
আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য দিরাই-শাল্লার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা-পর্যালোচনা। চলছে চূড়ান্তভাবে হিসাব-নিকাশ। কার মাথায় বসবে বিজয়ের মুকুট? পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে প্রতিদিনই চলছে ভোটারদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও দোয়া চাওয়ার পর্ব। এবারের নির্বাচনে ভোটারগণ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক সতর্ক ও সচেতন। ফলে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে তা কেউই হলফ করে বলতে পারছেন না। তবে ভোটাররা জানান, মূলত নির্বাচন হবে ত্রিমুখীÑ আওয়ামীলীগ-বিএনপি বনাম বিদ্রোহী প্রার্থী। সূত্র মতে, দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান খান (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী (আনারস), আল মামুন (মোটরসাইকেল), মহসিন রেজা (ঘোড়া) ও বিএনপির মোঃ আনিছুর রহমান (ধানের শীষ)। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ বছর দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজুয়ান খানকে। যার ফলে বিদ্রোহী হিসেবেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাহাঙ্গীর। এ ছাড়াও একই দল থেকে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন ও আওয়ামী লীগ নেতা মহসিন রেজা। আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে অনেকটা সুবিধায় রয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আনিসুর রহমান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। ভাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে বেলাল আহমেদ (ঘোড়া), মোঃ শাহজাহান কাজী (মোটরসাইকেল), আলমগীর বক্ত চৌধুরী (আনারস), আওয়ামী লীগের জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা) ও বিএনপির মোঃ আফজল হোসেন (ধানের শীষ)। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমানের অনুসারী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারী শাহজাহান কাজী। উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান কাজীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বলে সরেজমিনে দেখা গেছে। এ ইউনিয়নে বিএনপির একক প্রার্থী আফজল হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান কাজীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা। রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে নওশেরান চৌধুরী (ঘোড়া), মোঃ রুনু মিয়া সর্দার (মোটরসাইকেল), জহিরুল ইসলাম (চশমা), মোঃ আব্দুল হক তালুকদার (আনারস), আওয়ামী লীগের সৌম্য চৌধুরী সমু (নৌকা), বিএনপির জুনায়েদ মিয়া (ধানের শীষ)। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৌম্য চৌধুরী সমুর ভোটে ভাগ বসাবেন বিদ্রোহী প্রার্থী সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জুয়েল। বিএনপি প্রার্থী জুনায়েদ মিয়ার ভোটে ভাগ বসাবেন বিএনপি নেতা নওশেরান চৌধুরী। চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে পরেশ লাল দাস (আনারস), শাহিন সুলতান তালুকদার শাহজাহান (ঘোড়া), বিএনপির রতন কুমার দাস (ধানের শীষ) ও আওয়ামী লীগের পরিতোষ রায় (নৌকা)। এ ইউনিয়নে লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী (আনারস), মহানন্দ দাস (ঘোড়া), বিএনপির মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের কানুলাল দাস (নৌকা) ও জাসদের কৃষ্ণকান্ত রায় (মশাল)। এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরীকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী না করে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন এহসান চৌধুরী। তবে ভোটারদের ধারণা, মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী কানু লাল দাস ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এহসান চৌধুরীর মধ্যে। করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে শাহাজাহান সরদার (আনারস), আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদার (নৌকা) ও বিএনপির মোঃ আব্দুর রহিম (ধানের শীষ)। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আছাব উদ্দিন সরদারের সাথে মূল লড়াই হবে বিএনপির একক প্রার্থী আব্দুর রহিম মাস্টারের। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহজাহান সরদার। জগদল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী আন্দোলনের মোঃ সোলাইমান হাসান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র মোঃ শিবলী আহমেদ বেগ (আনারস), আওয়ামী লীগের মোঃ হুমায়ুন রশিদ (নৌকা), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেএম তোফায়েল আহমদ (খেজুরগাছ) ও বিএনপির মোঃ কামরুল ইসলাম (ধানের শীষ)। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা সভাপতি মতিউর রহমান অনুসারী সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন রশীদ লাভলুর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারী শিবলী আহমদ বেগ। বিএনপির একক প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। এ ইউনিয়নের ভোটার ও সমর্থকদের দাবিÑ তিনি অনেকটা সুবিধায় আছেন। তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হক তালুকদার (চশমা), রুহুল আমীন (ঘোড়া), দ্রুপদ চৌধুরী নূপুর (আনারস), মোঃ আকিকুর রেজা (মোটরসাইকেল), মোঃ আব্দুল কদ্দুছ (টেলিফোন), আওয়ামী লীগের আহমদ চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির আলী আহমদ (ধানের শীষ) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হাজী গিয়াস উদ্দিন (খেজুরগাছ)। এ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হক তালুকদারকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। তবে তার প্রতিপক্ষ হচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলী আহমদ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমদ চৌধুরীর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকিকুর রেজা ওরফে পুলিশ। কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আহাদ মিয়া (ঘোড়া), কাওছার গাজী চৌধুরী (চশমা), পবিত্র মোহন দাস (টেলিফোন), মোঃ একরার হোসেন (মোটরসাইকেল), মোঃ মিজবাহ উজ্জামান চৌধুরী (আনারস), আওয়ামী লীগের মিলন মিয়া (নৌকা) ও বিএনপির মোঃ মুজিবুর রহমান (ধানের শীষ)। এ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী প্রবাসী মুজিবুর রহমানের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রবাসী মিসবাহ উজ্জামান চৌধুরী। অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিলন মিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী একরার হোসেন ও পবিত্র দাস। এদিকে শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের বিধান চন্দ্র চৌধুরী (নৌকা), নরেশ চৌধুরী (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন (আনারস)। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৯১ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৩৭৫ জন, নারী ৯ হাজার ৬১৬ জন। হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাস (ঘোড়া) ও বিএনপির শৈলেন কুমার দাস (ধানেরশীষ)। আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে হাজিরুল ইসলাম (টেবিলফ্যান), ফজলুর রহমান (দুটিপাতা), খুরশেদ মিয়া (আনারস), আব্দুর রহমান (ঢোল), জুবায়ের মনির (ঘোড়া), জাকির হোসেন (মোটরসাইকেল), আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম আজাদ (নৌকা), বিএনপির আব্দুল্লাহ আল নোমান (ধানের শীষ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম (চশমা)। শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল ছত্তার মিয়া (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামান চৌধুরী ফুল মিয়া (আনারস), আবুলেইছ চৌধুরী (ঘোড়া) ও বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (ধানের শীষ)। এদিকে শাল্লা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে আওয়ামী লীগ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও বিদ্রোহীদের সমর্থন জানিয়ে মাঠে কাজ করছেন। ফলে এই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ। ফলে উপজেলার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অলিগলি, আড্ডাখানা সবার মুখেই শুধু নির্বাচন আর প্রার্থীদের আলোচনা-সমালোচনা। আগামীকাল চারটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চারটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেনÑ ১নং আটগাঁও ইউপিতে আবুল কাশেম আজাদ, ২নং হবিবপুর ইউনিয়নে বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল, ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নে বিধান চন্দ্র চৌধুরী ও ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের আব্দুস ছত্তার মিয়া। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ১০ জন প্রার্থী। তারা হলেন ১নং আটগাঁও ইউনিয়নে হাজিরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, খোরশেদ মিয়া, আব্দুর রহমান, সেলিম উদ্দিন, মোঃ জুবায়ের মনির, মোঃ জাকির হোসেন, ২নং হবিবপুর ইউনিয়নে সুবল চন্দ্র দাস, ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নে নরেশ চন্দ্র চৌধুরী, ৪নং শাল্লা ইউনিয়নে জামান চৌধুরী ফুল মিয়া, আবুলেইছ চৌধুরী। জানা যায়, বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ নেতাকর্মীরাও। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ শাল্লা ইউপিতে এককভাবে লড়ছেন। আটগাঁও ইউপিতে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও হবিবপুর ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় প্রতীক প্রাপ্ত শৈলেন কুমার দাস একক প্রার্থী হয়েছেন। বাহাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বিএনপির জাকির হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।