বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রবেশ পত্র-নিয়োগপত্র সবই পেয়েছেন ফরহাদুল আমিন মামুন। সেখানে নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর এবং সীল রয়েছে। শুধু চাকুরীতে যোগদান বাকী। এমনি অবস্থায় গতকাল ধরা পড়লো মামুনকে দেয়া সবকিছুই ভুয়া। প্রতারক আবু বক্কর শাহিনও (২৭) ধরা পড়েছে হাতেনাতে। রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সে কসবার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মৃত আবুল কালামের ছেলে। ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত ফরহাদুল আমিন মামুন জানান, তাকে মুন্সিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে অফিস সহকারীর চাকুরী দেবে বলে ৩ লাখ টাকার চুক্তি করে শাহিন। এরপর সে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করা সহ কয়েক ধাপে ১৮ হাজার টাকা গ্রহন করে তার কাছ থেকে। রবিবার আরো একলাখ টাকা নিতে শাহিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসে। শহরের সুপার মার্কেট এলাকা থেকে এই টাকা নেয়ার কথা ছিলো শাহিনের। পরে মামুন তার এক বড় ভাইয়ের সামনে টাকা দেবে বলে শাহিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে নিয়ে আসে। মামুনকে দেয়া নিয়োগপত্রটি দেখে প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এবং মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবনকে অবহিত করেন। তারা দু’জনেই ওই প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করতে বলেন। এরপর পুলিশ এসে আবু বক্কর শাহিনকে আটক করে নিয়ে যায়। আবু বক্কর ২ মে মুন্সিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র দেয় মামুনকে। যেখানে ৯ মে যোগদানের কথা বলা হয়েছে। এরআগে ইস্যুর তারিখ ছাড়া ২৬ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের একটি প্রবেশপত্র দেয়া হয় মামুনকে। মামুন ওই পরীক্ষা দিতে ঢাকা গেলে তাকে পরীক্ষা দিতে হবেনা এবং তার চাকুরী হয়ে গেছে বলে জানায় শাহিন। বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর কলেজে একই সাথে পড়াশুনা করার সুবাধে মামুন ও শাহিনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।