Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৫৩৯ রোগীর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৫৩৯ রোগীর কিডনী প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। যা দেশের অন্য যেকোন প্রতিষ্ঠাণের তুলনায় বেশি। কিডনি প্রতিস্থাপণে আধুনিক রোবটিক চিকিৎসা অধিকতর কার্যকর। অচিরেই বিএসএমএমইউতে রোবটিক সার্জারি ব্যবস্থার প্রবর্তণ করা হবে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-বøকের ইপনা মিলনায়তনে ‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশনস এ্যান্ড রিকনসট্রাকটিভ স্টেট অফ ২০১৯- শীর্ষক সেমিনারে (সিএমই) বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম খুরশিদুল আলম এর সভাপতিত্বে ‘প্রোসপেক্ট অফ রেনাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। রোবটিক সার্জারি এবং জš§গত ত্রæটিসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যায় আক্রান্ত যৌনাঙ্গের চিকিৎসা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ককিলাবেন দিরুবাই আম্বানি হসপিটাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ইউরোলজিস্ট ডা. সঞ্জয় পান্ডে, সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।
অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল তার বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে বলেন, বিএসএমএমইউতে এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন রোগীর কিডনী প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। কিডনী প্রতিস্থাপনকৃত রোগীদের ৯৫ শতাংশ কমপক্ষে ১ বছর, ৮২ শতাংশ কমপক্ষে ৫ বছর এবং ৭৮ শতাংশ কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বা বেঁচে রয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিডনী দাতাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ ও পুরুষদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। দাতাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে (৩৩.৮ শতাংশ)। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনী প্রতিস্থাপনে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ব্যয় হয়। প্রবন্ধ আরো জানানো হয়, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএমএমইউসহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে ১৭৬০ জন রোগীর কিডনী প্রতিস্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে ৪০ জন রোগীর। এছাড়া ২০০৮ সালে প্রতিস্থাপন হয় ১১৬ রোগীর। অনুরূপ ২০০৯ সালে ১৪২ জন, ২০১০ সালে ১৫৭ জন, ২০১১ সালে ১১৪ জন, ২০১৩ সালে ১৪৫ জন, ২০১৪ সালে ১৩৮ জন, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৭ সালে ১৪৫ এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন রোগীর উল্লেখযোগ্য। তিনি জানান, বিএসএমএমইউসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত ১৮০৩ জন রোগীর কিডনী প্রতিস্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে বিএসএমএমইউতে প্রতিস্থাপন হয়েছে ৫৩৯ জন রোগীর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে ৫২৯ জন, কিডনী ফাউন্ডেশনে ৪৬২ জন ও এবং বারডেমে ১১৫ জন।
অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, বর্তমানে সংক্রামক ব্যধি ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনী অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ। কিডনী সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভেজাল খাবার অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ব্যাথা নাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। যেকোনো সংক্রমণ হলে বা শরীরে ইনফেকশন হলে শুরুতেই চিকিৎসা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিডনি প্রতিস্থাপন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ