Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিংড়ায় শিক্ষার নামে বাণিজ্য

টাকার বিনিময়ে বদলি

সিংড়া (নাটোর) থেকে আনোয়ার হোসেন আলীরাজ | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

নাটোরের সিংড়ায় শিক্ষার নামে শিক্ষক বাণিজ্য চলছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের বদলী করেন। আর যাদের টাকা নেই তাদের বছরের পর বছর চলনবিলের দুর্গম পল্লীর স্কুলগুলোতে গিয়ে ক্লাস নিতে হয়। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কারো নির্দেশ পরোয়া করেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান, নিজের খেয়াল খুশি মতো শিক্ষকদের বদলী করে থাকেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের মেয়ে কামরুন নাহার উপজেলার কলম গোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একজন প্রতিবন্ধী ছেলের মা, তাকে প্রতিদিন ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে গোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নিতে হয়। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ উপজেলার দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করে। একই বছর ২৩ এপ্রিল দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুন্যপদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বদলীর আবেদন করেন শিক্ষক কামরুন নাহার। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষককে তাদের সুবিধা মতো জায়গায় বদলী করা হয়েছে। অথচ কলম গোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহারকে বদলী করা হয়নি।
তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের অভিযোগ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসানের চাহিদা মেটাতে পারেনি বলে তার মেয়েকে বদলী করা হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো শিক্ষকদের বদলী করে থাকেন। আর যাদের টাকা নেই তাদের বছরের পর বছর চলনবিলের দূর্গম পল্লীর স্কুলগুলোতে গিয়ে ক্লাস নিতে হয়।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মহোদয়কে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কারো নির্দেশ পরোয়া করেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হোসেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসানের সেলফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এরশাদ আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাউকে টাকার বিনিময়ে কোথাও বদলী অথবা ডেপুটেশনে পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষার নামে বাণিজ্য
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ