প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান নিয়ে বিতর্কের অবসান এখনো হয়নি। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে একমত পোষণ করেননি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে একই বিষয়ে পর পর দুদিন দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর বিষয় উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, এটা তো তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। অনুদান বিতর্ককে চাপা দেওয়ার জন্য এবং আমরা যারা কমিটি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি তাদের মানহানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির মন্তব্যসহ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির ভাষা খুবই অশোভনীয়, যা মেনে নেওয়ার মতো নয়। মন্ত্রণালয়ের এসব কর্মকাণ্ডে আমি খুবই হতাশ। উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করে। এবার একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র এবং ৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়। তালিকা প্রকাশের পর থেকে একাধিক অনুদান প্রত্যাশী এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রকাশ করেন অনিয়মের নথি। অনুদান কমিটির অন্যতম চার সদস্যর জ্ঞাতবর্হিভূতভাবে এই তালিকা প্রকাশের অভিযোগ এনে পদত্যাগ পত্র জমা দেন মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম ও মতিন রহমান। গত ২৮ এপ্রিল তথ্যমন্ত্রী বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা। এরপর থেকেই বিতর্কের সূচনা হয়। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। যেখানে পদত্যাগকারীদের কঠোর সমালোচনা করেন এবার অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ও নির্মাতা সারাহ বেগম কবরী ও ড. ইনামুল হক। কবরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, অনুদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা সঠিক। বিগত দিনেও দেখেছি, এসব জায়গায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে কয়েকজন লোক। সব সময় তারাই ভালো নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে। যারা এগুলো করেন, তাদের উদ্দেশ সব সময় অসৎ। তবে মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এদের চিহ্নিত করে আগেই বাদ দেয়া। প্রজ্ঞাপন জারির পর যারা পদত্যাগ করেছেন, তাদের আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তাদের এখন পদত্যাগ করা বা না করা একই কথা। সবকিছু সুন্দরভাবে শেষ হওয়ার পর পদত্যাগ করতে চাওয়ায় বোঝা যায় যে তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো কবরীর এমন মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছেন অনুদান কমিটির চার পদত্যাগকারী। অন্যদিকে গত ২ মে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সকল সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখছেন। যে চারজন সদস্য পদত্যাগ করার কথা বলছিলেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্যসচিব আবদুল মালেক। বৈঠকে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয় এবং পদত্যাগ করা চার সদস্য কমিটিতে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে মন্ত্রীকে জানান। এ ব্যাপারে মামুনুর রশীদ বলেন, বৈঠকের বিষয়টি ঠিকই আছে। মন্ত্রী ডেকেছেন, আমরাও গিয়েছি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে তা মনে হয় পুরোপুরি ঠিক নয়। কারণ, বৈঠকে আমরা অনেক আলাপ করেছি। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। এসব বিষয়ে এখন আর স্বচ্ছতার কোনও বিকল্প নেই। স্বচ্ছতাহীন কমিটিতে থাকারও কোনও মানে নেই। আমি আমার সারা জীবনের অর্জন নষ্ট করতে পারবো না অস্বচ্ছ কোনও কাজ করে। তবে বৈঠক শেষে আমরা চারজনই মন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চেয়েছি। বলেছি, আমরা পুরো বিষয়টি আরেকটু অবজার্ভ করি। তারপর সিদ্ধান্ত জানাবো। অথচ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হলো আমরা বৈঠক করে কমিটিতে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সত্যিই মন্ত্রণালয়ের এসব তড়িঘড়ি কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।