পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর শঙ্কা আপাতত আর নেই, রোববার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। আবহাওয়া একটু ভালো হলেই লোকজনকে সাইক্লোন সেন্টার ছাড়তে বলা হবে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা ও টাঙ্গাইল অতিক্রম করছে। এটি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকালে খুলনা ও আশপাশের এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘূর্ণিঝড়টি ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হচ্ছে। আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি খুলনাঞ্চলে আঘাত হানে। ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবল থেকে নিরাপত্তার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলাগুলোর ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, স্বেচ্ছাসেবকসহ রাজনৈতিককর্মীরা উপকূলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।