Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইফতারিসহ সকল খাদ্য নিরাপদ ও বিষমুক্ত চাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:৩৩ এএম

জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এনে উৎপাদন পর্যায় থেকে বাজারজাতসহ খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত খাদ্যকে নিরাপদ রাখতে জোর কার্যক্রমের দাবি জানিয়েছেন দেশের পরিবেশবাদিরা। ‘খাদ্য উৎপাদন থেকে গ্রহণ পর্যন্ত ফলমূলসহ সকল খাদ্য বিষমুক্ত ও নিরাপদ চাই’ দাবিতে মানববন্ধনে পরিবেশবাদিরা এদাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সমানে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও পল্লীমা গ্রীণসহ ৮টি সংগঠনের উদ্যোগে এ মানবন্দন অনুষ্ঠিত হয়। পল্লীমা গ্রীণ-এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লুতফর রহমান-এর সভাপতিত্বে এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ-এর সঞ্চালনা করেন। এতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ)-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপা) সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, পল্লীমা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আউয়াল কামরুজ্জামান ফরিদ, আইনের পাঠশালার সভাপতি সুব্রত দাস, পল্লীমা গ্রীণের সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান খান রবিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বাংলাদেশে বহুল আলোচিত এবং উদ্বিগ্নতার একটি বিষয়। ভোক্তা সাধারণ কোন খাবারেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না এবং স্বস্তি পাচ্ছেন না। ব্যাপক পরিসরে এই খাদ্য ভীতি মানুষকে গ্রাস করেছে। পবিত্র রমজান আসন্ন। রমজান মাসকে সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিশেষ করে ইফতারিতে যেসমস্ত খাদ্যপণ্য বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলোর উৎপাদন, আমদানি, মজুতকরণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। অসাধু শিল্পপতি, উৎপাদনকারী, কৃষক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, মজুতদার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা অধিক মুনাফার লোভে এসব খাদপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক ও ভেজালের মিশ্রণ করে থাকে। যা আমাদেরকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং আগামী প্রজন্ম বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বড় হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সার কীটনাশক যথেষ্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। অননুমোদিত এবং মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশাকও ব্যবহার করা হচ্ছে। আনারস কলাসহ বিভিন্ন খাদ্যে গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু খাদ্যে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারও করা হচ্ছে। ফলমূল পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ দেশের আভ্যন্তরীণ বাজার স্বল্প দুরত্বের আর প্রচুর চাহিদা থাকায় এখানে কৃত্তিম প্রক্রিয়ায় খাদ্য পাকানোর কোন দরকার নাই। অপরিপক্ক ফল কিংবা খাদ্যে পুষ্টিমান কম থাকে সুতরাং এভাবে ভোক্তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কৃত্তিমভাবে কোন ফল পাকাতে হলে সেটা অবশ্যই সরকারের রিগুলেটরি এজেন্সির মনিটরিং এর মাধ্যমে হতে হবে।
তারা বলেন, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সর্ব¯তরের ব্যবসায়ীদেরকে ইফতারিসহ সকল খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিষ ও ভেজালমুক্ত ইফতারি সামগ্রী নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক সমন্বিত বাস্তবসম্মত মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তারা বলেন, খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মিশানোর সাথে জড়িত ও রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত খাদ্য বিক্রয়কারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দন্ড প্রদানই যথেষ্ট নয়। এদের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট, ১৯৭৪ এর ২৫-গ ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ