নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বয়স তার ৩৭। পেশাদারি ফুটবল খেলোয়াড়দের বেশিভাগই এই বয়সে ইতি টানেন ক্যারিয়ারের। তবে ইকার ক্যাসিয়াস যেহেতু গোলরক্ষক, তাই আরও কয়েক বছর খেলে যেতে পারবেন সহজেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক কি পারবেন ক্যারিয়ার লম্বা করতে? হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে ঘিরে জন্মেছে এই প্রশ্নটা।
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর পোর্তোর হয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন ক্যাসিয়াস। গত বুধবার পর্তুগিজ ক্লাবটির অনুশীলনে তার হ্যার্ট অ্যাটাক হলে দ্রæত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, এমনকি জরুরি অস্ত্রোপচার করাতে হয় স্পেনের কিংবদন্তি গোলরক্ষককে।
আজ হাসপাতাল ছাড়ার কথা ক্যাসিয়াসের। গতকালই স্প্যানিশ গোলরক্ষক নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভালো আছে। একই সঙ্গে তার আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠানো সবাইকে ধন্যাবাদ জানিয়েছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে ক্যাসিয়াসকে দুই-তিন মাস বিশ্রামে থাকতে হবে। অর্থাৎ, এই সময়ে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
সুস্থ হয়ে ক্যাসিয়াস পেশাদারি ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শোনা যাচ্ছে দুই রকম কথা। হার্ট অ্যাটাকে অস্ত্রোপচার করা একজন খেলোয়াড়, যিনি কিনা গোলরক্ষক, তার পক্ষে পেশাদারি ক্যারিয়ারের ধকল সামলানো কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান অনেক চিকিৎসকই। যদিও তার বর্তমান ক্লাব পোর্তো আশাবাদী, আবারও গøাভস হাতে গোলবারের নিচে দাঁড়াতে পারবেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
২০১৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়া ক্যাসিয়াসের ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে পোর্তোর সঙ্গে। ওই চুক্তিতে চাইলে আরও এক বছর বাড়ানোর সুযোগও আছে। পর্তুগিজ ক্লাবটির চিকিৎসক নেলসন পুগা ‘পোর্তো কানাল’কে বলেছেন, ‘এটা নির্ভর করছে তিনি কতটা সেরে উঠছেন, তার ওপর। আর সেটা বোঝা যাবে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে।’
হার্ট বিশেষজ্ঞ জোসে কালাবাইগ জানিয়েছেন, এই ধরনের অবস্থা থেকে সেরে উঠতে তিন থেকে ছয় মাস লাগে। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসকের ব্যাখ্যা, ‘শারীরিকভাবে ভয়ের কিছু না থাকলেও মাংশপেশীতে সমস্যা হওয়ার শঙ্কা থাকে। একটা (ভালো) অবস্থানে যেতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে থেকে। এরপরই আসলে সঠিকভাবে বলা যাবে, তিনি কাজে (ফুটবলে) ফিরতে সক্ষম কিনা।’
তবে হুয়ান আন্তোনিও নামের এক চিকিৎসক চরম হতাশাজনক মন্তব্যই করেছেন, ‘স্টেন্ট লাগিয়ে আপনি ফুটবল খেলতে পারবেন না। আর বিশেষভাবে গোলরক্ষকের বেলার তো একেবারেই না। ইকের তার স্বাভাবিক জীবন আনন্দেই কাটাতে পারবেন, তবে তার পেশাদারি ক্যারিয়ার আবার করে শুরুর করার ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’
এই চিকিৎসকের আশঙ্কা সত্যি হলে ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা এক কিংবদন্তির বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে চরম করুণ সুরে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।