পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে দলে ফেরানোর সুযোগ নেই। তবে মোকাব্বির খানকে যে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে সে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। গণফোরামের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে এ বিষয়টি জানা গেছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক দল বিএনপির পাঁচ এমপি শপথ গ্রহণের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে গণফোরাম। একই সাথে মোকাব্বির খানের শোকজ নোটিশটিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত দু’তিন দিন যাবত রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম একটি নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে চলে। এ দলের গঠনতান্ত্রিক যে প্রক্রিয়া তার আলোকেই চলতে হয়। তাই বহিষ্কার করা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে দলে ফিরিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে মোকাব্বির খান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলীয় নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি তার কি জবাব দেন সেটি দল দেখবে। তার জবাব সন্তোষজনক হলে তিনি দলে যে ভাবে আছেন সে ভাবেই থাকবেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মোকাব্বির খান তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাব্বির খান ইনকিলাবকে বলেন, আমি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি নীতি ও আদর্শের রজনীতি করি। দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য, হত্যা-ধর্ষণ, খুন-গুম এসব বন্ধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। গণফোরামের প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছি। জনগণের কথা ভেবেই সংসদে যোগ দিয়েছি। সংসদে আমি জনগণের কথা বলবো। আমি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের একজন কর্মী আছি থাকব।
দল ও জোটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেয়ার কারণে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে ৭ মার্চই বহিষ্কার করে গণফোরাম। অন্যদিকে একই অপরাধে মোকাব্বির খানকে গত ২৪ এপ্রিল শোকজ পাঠায় দলটি। শপথ নেয়ার সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বিএনপির নির্বাচিত পাঁচ এমপি সংসদে যোগ দেয়ায় ঐক্যফ্রন্টের হিসাব-নিকাশ বদলে যায়। এ অবস্থায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলে ফেরানোর হতে পারে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন গুঞ্জন শুরু হয়। একইভাবে মোকাব্বির খানকে দেয়া শোকজ নোটিশটিও প্রত্যাহার হবে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ছয়জন জয়ী হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন গণফোরামের দু’জন। নির্বাচনের পরপরই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুন:নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি তারা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। তাকে অনুসরণ করে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ নেন ২ এপ্রিল। এ দু’জনকে অনুসরণ করে ২৫ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির মো: জাহিদুর রহমান। পরে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। শপথ গ্রহণের সাংবিধানিক সময়সীমার শেষ দিন ২৯ এপ্রিল বিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বিএনপির বাকি চার সংসদ সদস্য শপথগ্রহণ করেন। পরদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ৩০ এপ্রিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন (বগুড়া-৬) শূন্য ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।