Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ঝুকিপূর্ণ এলাকার নারী শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৯, ১:১৩ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ফণি ভারতের দক্ষিন-পূর্ব উপকূলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যোই আছড়ে পড়লেও এখনো বাংলাদেশের দক্ষিন উপকূলে আবহাওয়ায় খুব বেশী তারতম্য লক্ষণীয় নয়। ঘন্টায় প্রায় ২শ কলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বর্ষনে ফনি’র তান্ডব চলছে গোটা পুরি যুড়ে। যা ক্রমাগত উড়িশ্যার দিকে এগুচ্ছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে লাইভ প্রচার করা হচ্ছে। তীব্র মাত্রার এ ঝড় আজ মধ্যরাতের পরে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে পৌছে যাবে বলে আবহাওয়া বীদগন আশংকা করছেন। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর,বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা উপক’লে আবহাওয়ার খুব বেশী তারতম্য ছিলনা। তাপমাত্রার পারদ এখনো ৩৩ডিগ্রীর কাছে পীঠে। বাতাসের গতিবেগ ১৫ কিলোমটারের মধ্যেই রয়েছে।
তবে সরকারী নির্দেশে উপকূলের ১৩টি জেলার ৪০টি উপজেলার সাড়ে ৩শরও বেশী ইউনিয়নের কয়েক লাখ নারী ও শিশু সহ বয়স্ক এবং অসুস্থদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে সকাল থেকে। বিশেষকরে উপকূলীয় বণ্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাইরে ও ভেতরের ঝুকিপূর্ণ এলাকার নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। উপকূলের ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে সরিয়ে আনতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী-সিপিপি’র ৫৫হাজার সেচ্ছাসেবক ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সিপিপি উপক’লের ৪০টি উপজেলার সাড়ে ৩শ ইউনিয়নে তার ৩ হাজার ৬৮৪টি ইউনিটের মাধ্যমে সতর্কতা জারীর পরে ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর উপক’ল যুড়ে মেগাফোনের মাধ্যমে সাইরেন বাজান ছাড়াও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মাইক যোগে প্রচারানার পাশাপাশি বিপদ সংকেতপূর্ণ ৩টি করে লাল পাতকা উত্তোলন করা হয়েছে দক্ষিন উপক’ল যুড়ে। সিপিপি’র বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, খুলনা, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার ও নোয়াখালী জোনাল অফিসগুলোর সাথে উপক’লের ১৪৬টি ভিএইচএফ ও এইচএফ স্টেশনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা সহ মনিপটরিং অব্যাহত রয়েছে।
তবে ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নয়া সম্ভব হলেও লাখ লাখ গবাদিপশু নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় উপকূলবাশী। দূর্যোগের সময় উপকূলের ১ কোটিরও বেশী গৃহপালিত পশু পাখির জন্য কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখনো গড়ে ওঠেনি।
এদিকে আজ মধ্যরাতের দিকে ফনি দেশের দক্ষিন-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানার পথে তাকে যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, তা ঝড়টির অনেক শক্তি ক্ষয় ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে একটি ভাটার সৃষ্টি হওয়ায় এর শক্তি আরো কিছুটা হৃাস পাবার সম্ভবনার কথা বলেছেন আবহাওয়াবীদগন। সেক্ষেত্রে দক্ষিন-পশ্চিমের সুন্দরবন উপক’লে আঘাত হানলেও তার তীব্রতা ৮০কিলোমিটারের মধ্যেই থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে এঝড় নিয়ে আতংকিত না হয়ে পরিপূর্ণ সতর্কতার সাথেই কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি সিপিপি’র সেচ্ছাসেবকরাও যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় উপক’লীয় দূর্যোগপ্রবন এলাকায় কাজ করছে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল মহানগরীর আকাশে সূর্য তার স্ব মহিমায় বিরাজ করছিল। গ্রীষ্মের তাপের সাথে প্রখর রোদ আর হালকা বাতসও অব্যাহত রয়েছে উপকূল যূড়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ