রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোরের সিংড়ায় বোরো ধানে ফলন বিপর্যয়। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষানীরা। তবে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। একবিঘা জমির ধান উৎপাদনে খরচ করতে হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ১৮/২০ ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ে, উৎপাদন খরচ নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা।
সিংড়াসহ চলনবিলে বোরো ধানের মাঠগুলোতে দিগন্তজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের ঝিলিক ছড়াচ্ছে। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালি রঙিন শিষে চোখ ধাঁধানো দৃশ্য চোখে পড়ে। গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে সবাই অতিষ্ঠ। আবারো বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লোকসান অনেকটই পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া ধানের দাম নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ফলন বিপর্যয়ে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। উপজেলার মটগ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দীন ও আগপাড়া শেরকোল গ্রামের মানিক সরকার জানান, একবিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। এরমধ্যে ধানের চারা বাবদ ৫০০ টাকা, জমি চাষ ৮০০ টাকা, পরিচর্যা বাবদ ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, পানিসেচ বাবদ ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, সার (ইউরিয়া, পটাশ, ডিএফপি, জিপ) ও কিটনাশক বাবদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা এবং কাটা-মাড়ায়ে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। আর যারা জমি লিজ নিয়ে চাষ করছেন তাদের করুণ অবস্থ্া। একবিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করতে প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ধানের বাজার মিনিকেট ৭৫০-৮৫০টাকা। কম দামে ধান বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। এবছর ফলন বিপর্যয়ে বিঘাপ্রতি ১৮/২০মন ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি কমপক্ষে ২৫/২৭মন ধান উৎপাদন হয়।
সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষানীরা। তবে ২৮ বা ২৯ জাতের ধান পাকতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। গত বছর পাহাড়ি ঢল ও আগাম বন্যায় অনেক কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ডুবে যায়। তাই আবহাওয়া বিপর্যয়ের শঙ্কায় অনেক কৃষক আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, এবছর ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ১ শ’ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বেশী হয়েছে। অর্জিত ধানের চাল উৎপাদন ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৭২ মেট্রিক টন। ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে পাকা ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। তবে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। শেষ মুহর্তে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং ধানের ন্যায্য দাম থাকলে কৃষকরা অনেকটাই লোকসান পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।