Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে প্রচন্ড গরমে অস্থির প্রাণিকুল

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

তীব্র প্রবল ঘূর্ণিঝড় (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) ‘ফণী’ শুক্রবার (৩ মে) বিকেল নাগাদ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় শনিবার (৪ মে) নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৭) জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে প্রচন্ড গরম অব্যাত রয়েছে। এতে কক্সবাজারসহ গোটা উপকূলের মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন গুলো ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষয়খতি এড়াতে নানা ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।



 

Show all comments
  • মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম ২ মে, ২০১৯, ২:১৪ পিএম says : 0
    আশা করি আমাদের দেশের সরকারও বেশ তৎপর রয়েছে। সরকারের আন্তরিক তৎরতা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবহাওয়া

২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ