Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাভারে আসামী ধরতে গিয়ে বাড়িঘর তছনছ ও লুটপাটের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ৯:১৯ পিএম

ঢাকার সাভারে ওয়ারেন্টের এক আসামী ধরতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, বাড়িঘর তছনছ ও নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের উত্তর মুগড়াকান্দা এলাকায় আবু বক্কর এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আবু বক্কর ওই এলাকার মৃত: হযরত আলী মাদবরের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, ভাকুর্তা পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম ভোর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আবু বক্করকে খোঁজ করেন। এসময় পুলিশ তাকে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এছাড়া ঘরের ভিতরের সমস্ত মালামাল তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়।

আবু বক্করের মা হাজেরা বেগম বলেন, এসআই তারিকুল ইসলাম বাড়িতে তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে টিনের বেড়া ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তছনছ করে। তিনি বলেন, তখন আমি কান্নাকাটি করি। তখন পুলিশ সুকেস ভেঙ্গে সমস্ত কাগজপত্রসহ মালামাল তছনছ করে। সুকেসের ড্রয়ারে থাকা টাকাও নিয়ে যায়। তখন আমি পুলিশকে বলি সপ্তাহখানেক আগেও আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন, তখন ফাঁড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনি।

আবু বক্করের স্ত্রী রেবেকা বেগম অভিযোগ করে বলেন, এসআই তারিকুল ইসলাম ভোর রাতে তাদের বাড়িতে এসে তার স্বামীকে না পেয়ে পুরো বাড়িতে তল্লাশী চালায়। এসময় কিছু না পেয়ে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করে এবং আলমারীতে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা, স্বর্ণের তিনটি চেইন ও তিন জোড়া কানের দুল নিয়ে চলে যায়।
বক্করের বাড়ির কাছে এক মুদি দোকানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবু বক্কর প্রায় বছর খানেক আগে মাদক ব্যবসা করতো, এখন সে ভাল হয়ে গেছে। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। কিন্তু পুলিশ কয়দিন পরপরই তার বাড়িতে হানা দেয়। তিনি বলেন, কেউ ভাল হতে চাইলে তাকে সবারই সুযোগ দেওয়া উচিত।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আবু বক্করের নামে একটি মাদকের মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছিল। যার মামলা নং- ৪১(০৩)১৮। এই মামলায় তার নামে ওয়ারেন্ট বের হলে তার বাড়িতে যাই কিন্তু সে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

কিন্তু ঘর তছনছ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার যে অভিযোগ তার পরিবার করছে তা সঠিক নয়। এরআগেও তাকে গ্রেপ্তার করে দেড় লাখ টাকা নেয়ার যে অভিযোগ করছে তাও সঠিক নয় বলে দাবী করছে পরিবারের সদস্যরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ